ঈশ্বরদী প্রতিনিধি, পাবনা
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় সারওয়ার আলম (৪৩) নামে এক শিক্ষকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি সকালে ওই শিক্ষকের 'স্বাভাবিক মৃত্যু' হয়েছে জানিয়ে দাফনের সময় নির্ধারণ করা হয়। তবে দাফনের আগ মুহূর্তে 'স্বাভাবিক মৃত্যু নয়' দাবি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন তার ভাই সাজেদুল ইসলাম। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে তার লাশ দুবলাচরা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সারওয়ার আলম উপজেলার পতিরাজপুর দুবলারচরা গ্রামের রুস্তম আলী মণ্ডলের ছেলে। তিনি ঈশ্বরদীর রেলওয়ে সরকারি নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
তার বাবা জানান, 'আমার ছেলের স্ত্রী গত বছর মারা গেছে, তার কোনো সন্তান ছিল না। মৃত্যুর আগের দিন ঘরে একাই ঘুমিয়ে ছিল। সকালে হঠাৎ পেটের ব্যথায় অস্থির হলে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওই শিক্ষকের পরিবারের সদস্যরা জানান, ‘মৃত্যুর আগের দিন এক বন্ধুর সঙ্গে রাতে খেয়ে বাসায় ফিরেছিল সারওয়ার আলম। সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
থানায় অভিযোগকারী সাজেদুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে তারা এটিকে অসুস্থজনিত মৃত্যু বলে ধারণা করলেও সারওয়ার আলমের দুই চিকিৎসক বন্ধু লাশ দেখে সন্দেহ করেন। পরে তিনি থানায় অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: হালুয়াঘাটে শিশুসহ ২ জনের আত্মহত্যা
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী দৈনিক অধিকারকে জানান, 'থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মামলার ধারা পরিবর্তন করা যেতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যালয় কেন্দ্রিক কারও সঙ্গে তার কোনো ঝামেলা ছিল কি-না কিংবা কারও সঙ্গে কোনো ধরনের শত্রুতা ছিল কি-না- এসব বিষয় আমরা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড