নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
৩ বছরের প্রেম। এরপর কিশোরীকে (১৭) বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে লঞ্চের কেবিনে একাধিকবার ধর্ষণ করে প্রেমিক সালাউদ্দিন (৩০)। এরপর থেকে ওই কিশোরীর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরপর রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত সালাউদ্দিনকে আটক করে।
গ্রেপ্তার সালাউদ্দিন চাঁদপুর পৌরসভা এলাকার উত্তর জিটি রোডের সিদ্দিক আলীর ছেলে। সে ফতুল্লার আমতলা প্রেম রোড এলাকায় বসবাস করত।
পরে বুধবার দুপুরে সালাউদ্দিনকে নারী নির্যাতন আইনে আদালতে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, তিনি ফতুল্লার এনায়েতনগর এলাকার একটি হোসিয়ারিতে চাকরি করত। ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত অবস্থায় সালাউদ্দিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর প্রায় ৩ বছর ধরে তাদের প্রেম চলতে থাকে। এরই মধ্যে বিয়ের প্রলোভনও দেয় সালাউদ্দিন।
তিনি আরও জানান, গত ১১ জানুয়ারি সকালে ফতুল্লার পঞ্চবটি বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলে প্রেমিক সালাউদ্দিন। এরপর সেখান থেকে কৌশলে তাকে অপহরণ করে ঢাকার সদরঘাট এলাকায় নিয়ে যায়। এতে কিশোরী লঞ্চে উঠতে গড়িমসি করে। তবে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয় প্রেমিক। এরপর চাঁদপুরগামী একটি লঞ্চের কেবিনে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সালাউদ্দিন। পরবর্তীতে চাঁদপুর থেকে ফিরে আসার পথেও সালাউদ্দিন তাকে ধর্ষণ করে বলে জানায় ওই কিশোরী। এরপর বিকালে তাকে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় রেখে সালাউদ্দিন বাসায় চলে যায়। ঘটনার পর সালাউদ্দিনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও সে ফোন রিসিভ করেনি।
আরও পড়ুন: নিজ বাসায় গৃহবধূকে হত্যা করে স্বর্ণালঙ্কার লুট
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, নির্যাতিত কিশোরী মঙ্গলবার রাতে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযুক্তকে রাতেই তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে সে। তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড