চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় এক নবজাতককে নিয়ে শহরজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। শিশুটিকে হাসপাতালে মৃত ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই নড়েচড়ে ওঠে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে শহরের উপশম নার্সিং হোমে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নবজাতকটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ক্লিনিকের চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটিকে যখন মৃত ভেবে প্যাকেট করার প্রস্তুতি চালাচ্ছিল ঠিক তখনই নড়ে ওঠে। এরপর তড়িঘড়ি করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হলে শহরজুড়ে শুরু হয় চাঞ্চল্য। শিশুটিকে দেখতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক মানুষ।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের আবদুল হালিম ও জিনিয়া খাতুনের বিয়ে হয় কয়েক বছর আগে। এরই মধ্যে জিনিয়ার গর্ভে সন্তান আসে। তাকে নিয়মিত চেকআপ করাতেন উপশম নার্সিং হোমের স্বত্বাধিকারী ডা. জিন্নাতুল আরা।
রবিবার বিকালে জিনিয়ার প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে নেওয়া হয় ডা. জিন্নাতুল আরার কাছে। সেখানে তার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন জিনিয়া। ভোর ৪টার দিকে কন্যা সন্তান প্রসব করেন জিনিয়া খাতুন।
প্রসূতি জিনিয়া খাতুন জানান, রবিবার বিকালে প্রসব বেদনা উঠলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উপশম নাসিং হোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সিজার করার কথা জানানো হলেও সোমবার ভোরে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে আমার কন্যা সন্তান জন্ম হয়। কিন্তু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ক্লিনিকের চিকিৎসকরা আমার মৃত কন্যা শিশু হয়েছে বলে জানায়। এরপর শিশুটিকে অযত্ন ও অবহেলায় ক্লিনিকের মেঝেতে রেখে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, সময় হওয়ার আগেই শিশুটি জন্ম নিয়েছে। তাকে ইনকিউবেটরের মধ্যে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে আপাতত শিশুটি সুস্থ আছে। এখন পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে চোখের দৃষ্টি হারালেন কলেজছাত্রী
এ ব্যাপারে ডা. জিন্নাতুল আরা বলেন, শিশুটি যখন জন্ম নেয় তখন একেবারেই শ্বাস-প্রশ্বাস ছিল না। নাভির কাছে কেবল ঢিবঢিব শব্দ ছিল। চার ঘণ্টা অক্সিজেন দেওয়ার পর শিশুটি কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড