কক্সবাজার প্রতিনিধি
সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত কক্সবাজার বিনির্মাণে অবদান রাখায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের বাংলাদেশ পুলিশের সর্ব্বোচ্চ পদক বিপিএম (বার) প্রাপ্তি এবং তার সহকর্মীদের আইজিপি ব্যাজ প্রাপ্তিতে কক্সবাজারে নাগরিক সংবর্ধনায় সিক্ত হলেন।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসনের সভাপতিত্বে শহরের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা সভার আয়োজন করেন কক্সবাজার জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম।
মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত কক্সবাজার বিনির্মাণে কক্সবাজার জেলা পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে। সেই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে দ্বিতীয় বারের মতো ‘বিপিএম পদক-২০১৯’ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম, কক্সবাজারের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবর্ধনার জবাবে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন এর পুরো কৃতিত্ব দেন তার অধীনস্ত পুলিশ বাহিনী ও কক্সবাজারবাসীকে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের একজন কর্মচারী হিসেবে আমি কোনো ধরনের সংবর্ধনা গ্রহণ করতে পারি না। কক্সবাজারের মানুষ যদি সমর্থন না দিতেন এবং সহযোগিতা না করতেন, তাহলে কক্সবাজার জেলাকে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত করা সম্ভব হতো না। সীমান্ত এলাকা হিসেবে কক্সবাজারে মাদক একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। তবে চ্যালেঞ্জ যতটা সম্ভব লাঘব করার জন্যই আমাদের কাজ করে যেতে হবে।
পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেন বলেন, চলতি মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত পুলিশ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ প্রশাসনকে নিজ নিজ জেলায় মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত করতে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। আমাদের পথ খুব সহজ নয়। কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগোচ্ছি। কক্সবাজারকে মাদকমুক্ত করতে আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। এখনো কাঙ্ক্ষিত সফলতা আসেনি। শুধু আইন দিয়ে পুরোপুরি মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন। আমাদের দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চাই।
সংবর্ধিত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- বাংলাদেশ পুলিশের দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) পুরস্কার প্রাপ্ত কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন (বিপিএম), আইজিপি ব্যাজ প্রাপ্ত কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন, মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর, টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সনজিব দত্ত।
সংবর্ধনায় সভায় বক্তারা বলেন, কক্সবাজার জেলায় যেভাবে মাদকের আগ্রাসন শুরু হয়েছিল পুলিশ যদি তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিতো, তাহলে আরেকটা আইয়ামে জাহেলিয়াতের জন্ম হতো। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের স্বীকৃতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে লাইনচ্যুত ট্রেনের উদ্ধার কাজ শুরু
সভায় বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জাফর আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, প্রফেসর সোমেশ্বর চক্রবর্ত্তী, অ্যাডভোকেট শাহনেওয়াজ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহজাহান, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিত দাস প্রমুখ।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড