সারাদেশ ডেস্ক
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মিতানুর আক্তার (২০) নামের এক ভর্তি রোগীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে নার্স ও আয়ার বিরুদ্ধে। ওই নারী বর্তমানে মহিলা মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রয়েছেন।
সে সদর উপজেলার ছোট-কামারকুন্ডু গ্রামের তসির মন্ডলের স্ত্রী এবং শহরের ব্যাপারীপাড়া এলাকার মিকাইল মন্ডলের মেয়ে।
ভুক্তভোগী ওই নারীর বাবা মিকাইল মন্ডল দৈনিক অধিকারকে জানান, রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে মিতানুর আক্তার তার স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা করে অসুস্থ হয়ে (গলায় দড়ি নিয়ে) সদর হাসপাতালে আসে। এ সময় জরুরি বিভাগ থেকে মহিলা মেডিসিন বিভাগে তাকে পাঠানো হয়।
সেখানে ডিউটিরত আয়া ও নার্স তাকে গালিগালাজ করে। বলে ‘তুই বার বার কেন আসিস, মরতে পারিস না।’ এই বলে ধাক্কা দেয় এবং পেটে লাথি মারে। এরপর থেকে মেয়ের ব্লিডিং শুরু হয়।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের ১২০ নম্বর রুমে গিয়ে অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা তারা নেয়নি বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের অন্যান্য রোগীর স্বজনরা জানান, হঠাৎ করেই নার্স ও আয়া এমন কাণ্ড ঘটাবে ভাবতেও পারিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই সময় সদর হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন বিভাগে দায়িত্বরত ছিলেন নার্স আফ্রিন ও আয়া বিউটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, আমার ধারণা রোগীকে ক্যানোলা দেওয়ার সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হতে পারে। তবে নার্স বা আয়া যদি রোগীর সঙ্গে এমন খারাপ আচরণ করে সেটি অবশ্যই দুঃখজনক।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আয়ুব আলী জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখব। আপনারা নিউজ করবেন না। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতেও পারে। এর জন্য হাসপাতালের সুনাম নষ্ট হবে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলার বিচার শেষ হয়নি ৪ বছরেও
এ দিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, এর আগেও এমন অনাকাঙ্ক্ষিত কয়েকটি ঘটনা আমার কাছে এসেছে। যদিও সদর হাসপাতাল আমার অধীনে না। তবুও স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা প্রধান হিসেবে বিষয়টি আমি অবশ্যই খোঁজ নিয়ে দেখব। এ বিষয়ে কারও অবহেলা বা কেউ জড়িত থাকলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড