নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসাদাই গুদারাঘাট এলাকায় বাসিন্দা আব্দুর রহিম পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। তিনি কাজ বাবদ পাওনা চাইতে গিয়েছিলেন পার্শ্ববর্তী এলাকার আসিফের বাড়িতে।
এই পাওনা টাকা চাইতে গিয়েই শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাত নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসাদাই গুদারাঘাট এলাকায় ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন আব্দুর রহিম।
এ ঘটনায় শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরে রহিমের ঘাতক সাদ্দাম হোসেন আসিফ, তার মা রাজিয়া, ও সুলতানা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিহত রহিমের বাবা ঈমান আলী দৈনিক অধিকারকে জানান, তার ছেলেকে কে বা কারা হত্যা করেছে- এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিভাবে তারা কিছুই জানতে পারেনি। কিন্তু রাতে পরিবারের লোকজন জানতে পারে, বেশ কয়েক মাস আগে রহিম বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকার আসিফের বাড়িতে ইলেকট্রিকের কাজ করেছিল। কাজ বাবদ তার কাছে রহিম পাঁচ হাজার টাকা পাওনা হয়। কিন্তু এই পাওনা টাকার জন্য বেশ কয়েকদিন রহিম গিয়েছিল আসিফের বাড়িতে। কিন্তু না তাকে তার পাওনা দেওয়া হয়নি। তিনি আরও জানান, শুক্রবার রাতে রহিম তার পাওনা টাকার জন্য আসিফের দুলাভাই ফারুকের ফ্ল্যাক্সি লোডের দোকানের সামনে গিয়েছিলেন। এ সময় আসিফ তার দুলা ভাইয়ের দোকানে আসার পর রহিম তার পাওনা টাকা চায়। এর সূত্র ধরেই দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রহিমের গলা ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে আসিফসহ বেশ কয়েকজন।
একটি সূত্র জানায়, আসিফ রহিমকে খুন করে রক্তমাখা ছুরি নিয়ে তার বাড়িতে যায়। এ সময় তার মা ছেলের রক্তামাখা ছুরি ধুয়ে দেয়। অপরদিকে আসিফকে পালানোর সহযোগিতা করে তারই খালা সুলতানা বেগম।
ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (আইসিপি) আজগর হোসেন জানান, কাজের পাওনা পাঁচ হাজার টাকা চাওয়ার জন্যই আসিফসহ কয়েকজন মিলে আব্দুর রহিমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। শুক্রবার রাতের ঘটনায় শনিবার ভোরে আসিফকে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরের হাসাইল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর এ হত্যার আলামত নষ্ট করার অপরাধে আসিফের মা রাজিয়া ও খালা সুলতানা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
নিহত আব্দুর রহিম শরিয়তপুরের জাজিরা থানার মাঝিকান্দির ইমান আলীর ছেলে। তারা স্বপরিবার ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার ইলিয়াস সর্দারের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড