• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

এমবিবিএস সেজে বসতেন চেম্বারে, ইউএনওর অভিযানে ধরা

  খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

১৮ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:৫৭
কারাদণ্ড
ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন (ছবি : দৈনিক অধিকার)

ভুয়া সদন ব্যবহার করে এমবিবিএস সেজে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় চেম্বারে বসতেন এক প্রতারক। এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। অবশেষে ভুয়া এমবিবিএস সনদধারী ওই প্রতারককে ধরা পড়তে হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জালে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপরের দিকে উপজেলার জামিলা ফার্মেসির চেম্বারে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গার ইউএনও বিভীষণ কান্তি দাশ ওই প্রতারককে আটক করেন। পরে সিফাত হাসান শাহিন নামে ওই ভুয়া এমবিবিএসকে এক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সিফাত হাসান শাহিন ঢাকার কদমতলীর দনিয়া এলাকার সওদাগর বাড়ির মো. জজ মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সিফাত হাসান শাহিন নিজেকে এমবিবিএস (ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (মেডিসিন) ও সিসিডি (বারডেম) মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনের জমিলা ফার্মেসিতে চেম্বারে বসতেন। দীর্ঘ সময় পর চিকিৎসকদের হাতেই তার প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। অনুসন্ধানে উঠে আসে তিনি ভুয়া ডিগ্রিধারী চিকিৎসক। মূলত সাধারণ মানুষের সরলতাকে পুঁজি করে দীর্ঘদিন ধরে তিনি এভাবে প্রতারণা করে আসছিলেন।

এক পর্যায়ে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে জমিলা ফার্মেসিতে ভুয়া চিকিৎসক সিফাতের সঙ্গে কথা বলেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তরুণ চিকিৎসক ডা. এমরান হোসেন, ডা. নাহিদা আকতার ও ডা. শরীফুল ইসলাম। পরে আচরণ ও কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তারা রাতভর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের পর তাকে প্রতারক হিসেবে শনাক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে জমিলা ফার্মেসিতে এসে তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আরও পড়ুন : মামলা না নিয়ে ওসির গালাগালি, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, ‘অভিযানকালে সিফাত হাসান শাহিন কোনো বৈধ সনদ দেখাতে পারেনি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে নিজেকে ভুয়া ডাক্তার বলে স্বীকার করেন তিনি। সবশেষে ২০১০ সালের বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে ভুয়া নাম-পদবি ব্যবহারের অপরাধে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।’

উল্লেখ্য, সিফাত হাসান শাহিন ১৯৯৩ সালে এসএসসি ও ১৯৯৫ সালে এইচএসসি পাস করলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ রয়েছে ১৭ মার্চ ১৯৯৪। তিনি জনৈক ডা. দিলরুবা আকতারের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিজের দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে চেম্বার দিয়ে নিজের প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে আসছিলেন।

ওডি/আইএইচএন

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড