নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে ইলেকট্রিক মেকানিক আব্দুর রহিমকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত সাদ্দাম হোসেন আসিফসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরে ঘটনার মূলহোতা আসিফকে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানার পাঁচগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরই মাসদাইর গুদারঘাট ও কাশিপুরের চর নরসিংপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আসিফরে মা রাজিয়া ও তার খালা সুলতানাকে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতেই নিহত আব্দুর রহিমের মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাদ্দাম হোসেন আসিফসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও ৩ থেকে ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
গ্রেপ্তার ও মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে ফারুক নামে এক ব্যক্তির ফ্লেক্সিলোডের দোকানে আব্দুর রহিমকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় সাদ্দাম হোসেন আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে তার মা রাজিয়া ও খালা সুলতানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, হত্যার পরপরই রক্তমাখা ছুরি নিয়ে আসিফ বাসায় ফিরে যায়। এ সময় তার মা রাজিয়া বেগম রক্তমাখা ছুরি ধুয়ে দেয়। এরপর তার খালা তাকে পালাতে সহযোগিতা করেন।
আরও পড়ুন : বিপর্যস্ত অস্ট্রেলিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত, মিলেছে স্বস্তি
এলাকাবাসী জানান, এলাকায় একটি মাদক বিক্রির সিন্ডিকেট রয়েছে। এই সিন্ডিকেটটি পরিচালনা করে ফারুক নামে এক ব্যক্তি। তার শ্যালক সাদ্দাম হোসেন আসিফ এ কারবারের সঙ্গে জড়িত। রহিম ছিল একজন মাদকাসক্ত। মাদকের পাওনা টাকা নিয়ে শুক্রবার রাতে ফারুকের ফ্লেক্সিলোডের দোকানে আসিফ ও রহিমের কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে আসিফ আব্দুর রহিমকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড