• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দৃশ্যমান ছয় লেনের ৪ সেতু

  চন্দনাইশ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম

১৫ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:৫১
ছয় লেন
সাঙ্গু সেতু (ছবি : দৈনিক অধিকার)

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভায় সাঙ্গু নদীর ওপর সাঙ্গু সেতুসহ ছয় লেন বিশিষ্ট চারটি নতুন সেতু নির্মাণ কাজ খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ক্রমান্বয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে সেতুগুলো। নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে ২৫ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের জন্য বিখ্যাত পর্যটন নগরী কক্সবাজার ঘিরে অনেক মেগা প্রকল্প অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে বর্তমান সরকার। পর্যটন নগরী কক্সবাজার ও বাংলাদেশের দার্জিলিং খ্যাত পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। পর্যটন খাতের ব্যবসার প্রায় পুরোটাই নির্ভরশীল এই সড়ক পথের ওপর।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে সক্রিয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া জাইকার আর্থিক সহায়তায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ছয় লেনের চারটি নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে চলেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত এসব সেতুর দুই পাশে হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য বিশেষ সুবিধা রাখা হয়েছে বলেও জানা গেছে। চারটি সেতুর নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে স্প্রেক্টা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

কাজের অগ্রগতি জানতে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে স্প্রেক্টা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলী জিয়াউল হক দৈনিক অধিকারকে জানান, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ছয় লেনের চার সেতুর নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে ২৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। চন্দনাইশ উপজেলায় সাঙ্গু নদীর ওপর সাঙ্গু সেতুর পাইলের কাজ শেষে বর্তমানে পিলার নির্মাণ করা হচ্ছে। ২৩৮ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুতে মোট পিলার হবে সাতটি, ইতোমধ্যে চারটি পিলারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। একটি পিলার থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ৪০ মিটার। প্রতিটি পিলারের নিচে সর্বোচ্চ ৩৪ মিটার থেকে সর্বনিম্ন ৩০ মিটার গভীরতায় সর্বোচ্চ ১৬টি থেকে সর্বনিম্ন নয়টি পাইল বসানো হয়েছে। তাছাড়া সেতুটির অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজও ৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। একই উপজেলায় বরুমতি খালের ওপর মাজার পয়েন্ট সেতুর পাইলের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং পটিয়া উপজেলার ইন্দ্রপুল সেতুর পাইলের কাজ ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। কক্সবাজার জেলার চকরিয়া মাতামুহুরি নদীর ওপর মাতামুহুরি সেতুর পাইলের কাজ শেষে বর্তমানে পিলার নির্মাণ কাজ চলছে। সেতুটিতে পিলার হবে মোট নয়টি, এর মধ্যে পাঁচটি পিলার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।’

আরও পড়ুন : পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার

জানা গেছে, সরকার ও জাইকার যৌথ অর্থায়নে ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নির্মাণাধীন চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভায় সাঙ্গু নদীর ওপর সাঙ্গু সেতুর দৈর্ঘ্য ২৩৮ মিটার, প্রস্থ ৩১ দশমিক ২০ মিটার। অপর তিনটি সেতুর মধ্যে পটিয়া ইন্দ্রোপোল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার, প্রস্থ ৩১ দশমিক ২০ মিটার। চন্দনাইশের বরুমতি খালের ওপর মাজার পয়েন্ট সেতুর দৈর্ঘ্য ৬০ দশমিক ১৫ মিটার, প্রস্থ ৩১ দশমিক ২০ মিটার এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর ওপর মাতামুহুরী সেতুর দৈর্ঘ্য ৩২১ মিটার প্রস্থ, ৩১ দশমিক ২০ মিটার।

ওডি/এএসএল

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড