• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ২০ পয়েন্টে বসছে গতিরোধক

  চন্দনাইশ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম

১৪ জানুয়ারি ২০২০, ২১:৩১
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে গতিরোধক (ছবি : দৈনিক অধিকার)

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহনের বেপরোয়া গতি ও দুর্ঘটনা রোধে ১৫ কিলোমিটার সড়কে বসানো হচ্ছে ২০টি রাম্বল স্ট্রিপ (গতিরোধক) ও জেব্রা ক্রসিং। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী থেকে পটিয়া উপজেলার ভেল্লাপাড়া পর্যন্ত মহাসড়ক লাগোয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে এসব গতিরোধক নির্মাণ করা হচ্ছে।

মহাসড়কে যেসব পয়েন্টে গতিরোধ বসানো হচ্ছে সেসব পয়েন্টগুলোর মধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি মেডিকেল কলেজ, তিনটি কলেজ, আটটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, মহাসড়কের চন্দনাইশ উপজেলা অংশে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, দোহাজারী জামিজুরী আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, গাছবাড়িয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কাঞ্চনাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ, বাদামতল মোহাম্মদপুর রাস্তার মাথা, দোহাজারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গতিরোধক নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়া পটিয়া উপজেলা অংশে মোজাফফরাবাদ কলেজ, পটিয়া সরকারি কলেজ, এজে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ, প্রাথমিক শিক্ষক ট্রেনিং সেন্টার (পিটিআই), পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, আব্দুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়, এজে চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, এয়াকুবদণ্ডি এসপি উচ্চ বিদ্যালয়, চক্রশালা কৃষি উচ্চ বিদ্যালয়, ইউনিয়ন কৃষি উচ্চ বিদ্যালয়, মধ্যম শিকলবাহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আল্লাহ ওখাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লড়িহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চক্রশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এয়াকুবদন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাম্বল স্ট্রিপ (গতিরোধক) নির্মাণ করা হচ্ছে। জানা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও পটিয়া উপজেলা অংশে প্রায় ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্তত ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পারাপার হতে হয়। কারণ, মহাসড়কের দোহাজারী থেকে পটিয়া ভেল্লাপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে কোনো ধরনের ওভারপাস কিংবা আন্ডারপাস নেই।

এছাড়া ১০ মিটার প্রসস্ত এ মহাসড়কের দুই পাশে ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পারাপার নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয় অভিভাবকদের। এছাড়া মহাসড়ক জুড়ে রয়েছে ৫০টিরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। যে কারণে প্রায় সময়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন। এতে প্রাণহানিসহ পঙ্গু হয়েছেন অনেকে।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) দোহাজারীর নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ দৈনিক অধিকারকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সাম্প্রতিক সময়ে দুর্ঘটনা বেড়েছে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও দুর্ঘটনারোধে মহাসড়ক লাগোয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ও ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি পয়েন্টে রাম্বল স্ট্রিপ ও জেব্রা ক্রসিং নির্মাণ করা হচ্ছে। দুটি স্ট্রিপের মাঝামাঝি জেব্রা ক্রসিং ও রাম্বল স্ট্রিপগুলোতে চালকদের দেখার সুবিধার্থে সাদা রং করে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে চালকেরা দূর থেকে সহজেই রাম্বল স্ট্রিপ দেখতে পারবেন এবং গাড়ির গতি কমিয়ে আনবেন। ’

তিনি বলেন, ‘রাম্বল স্ট্রিপ ও জেব্রা ক্রসিং নির্মাণের ফলে যানবাহনের বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমে আসবে। এছাড়া মহাসড়কের পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ডিজিটাল সাইনবোর্ড দেওয়ার ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। যাতে করে দুর্ঘটনারোধ হয় এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন থাকতে না হয় সেজন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।’

আরও পড়ুন : ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল গ্রেফতার

এ অবস্থায় মহাসড়কে গতিরোধক স্থাপন ও জেব্রা ক্রসিং নির্মাণ করায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বেপরোয়া গতির যানবাহনগুলো গতি কমিয়ে যেতে বাধ্য হবে এবং দুর্ঘটনা কমে আসবে বলে মত প্রকাশ করছেন সচেতন অভিভাবক মহল।

ওডি/ এফইউ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড