ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গা-মাওয়া মহাসড়কের বগাইল সেতুর রাস্তার পাশ থেকে শহিদুল ইসলাম মানিক (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ডাকাতি ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে মানিকের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৩২টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল আটটার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবক মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার কুতুবপুর গ্রামের রতন মোল্লার ছেলে। তাকে ট্যারা মানিক ও কানা মানিকও বলত পরিচিতরা।
ভাঙ্গা থানার এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় পথচারীরা ভাঙ্গা-মাওয়া মহাসড়কের বগাইল সেতুর রাস্তার পাশে শহিদুল ইসলাম ওরফে ট্যারা মানিকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে এসআই বাকেরসহ পুলিশ সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে। এ সময় লাশের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন থেকে তার স্বজনদের ফোন দিয়ে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তার নামে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদক আইনে ৩২টি মামলা রয়েছে।
তিনি জানান, লাশের মাথায় ও মুখে কালো রং জাতীয় কিছু দাগ দেখতে পেয়েছি। তবে কোনো গুলির চিহ্ন নেই শরীরে। এছাড়া গলায় একটি মোটা দাগ রয়েছে।
ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই বেলাল হোসেন জানান, মানিকের নামে থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদক আইনে ৮টি মামলা রয়েছে। যতদূর জানি সে বর্তমানে পলাতক অবস্থায় ছিল।
জানা গেছে, মানিক ইতঃপূর্বে ফরিদপুরের হাবেলি গোপালপুরে পরিবার নিয়ে থাকত। সেখানে মাদক ব্যবসা, ডাকাতি ও নারীদের নিয়ে ব্যবসার অপরাধে বছর তিনেক আগে এলাকাবাসী পুলিশ দিয়ে তাকে এলাকা ছাড়া করে।
আরও পড়ুন : পুকুরে ভেসে উঠল নিখোঁজ ২ শিশুর লাশ
এ দিকে মানিকের মা বেলী অভিযোগ করে বলেন, গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে ফরিদপুর শহরের বাদামতলী এলাকায় বাবা-মায়ের সাথে দেখা করতে গিয়েছিল সে। সেখান থেকে উজ্জ্বল ও সেখ শাহিন নামে পরিচিত দুই যুবক মোবাইলে কল দিয়ে বাড়ি থেকে দাওয়াতের কথা বলে তাকে ডেকে নেয়। তিনি সন্তান হত্যার বিচারসহ দোষীদের শাস্তির দাবি করেন।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড