পিঠা কিনতে গিয়ে শিশু ধর্ষণের শিকার, ধর্ষক আটক

পিঠা কিনে বাড়ি ফেরার পথে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক আলামিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) গ্রামের বাড়ি পলাশ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নরসিংদী সদর থানা পুলিশ। জানা গেছে, ধর্ষক আলামিন পলাশ উপজেলার মাঝেরচর গ্রামের কলা বিক্রেতা। রবিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নরসিংদীর সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের রাজাদী গ্রামে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার শিশুকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৮টায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ধর্ষণের শিকার শিশু রাজাদী সান সাইন মডেল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় রাতেই ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

পুলিশ ও ধর্ষণের শিকার শিশুর পরিবার দৈনিক অধিকারকে জানায়, সন্ধ্যার পর কালীর বাজার থেকে পিঠা কিনে বাড়ি ফেরার পথে শিশুর গতিরোধ করে কলা বিক্রেতা আলামিন। তার মুখ চেপে ধরে রাজাদী গ্রামের নার্সারির পাশে কলা ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গামছা দিয়ে শিশুর মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।

এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে আসলে আলামিন পালিয়ে যায়। পরে শিশুকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসক ও পরে অবস্থার অবনতি হলে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শিশুর রিকশাচালক পিতা কান্না জড়িত কণ্ঠে দৈনিক অধিকারকে বলেন, আমার নিষ্পাপ, অবুঝ শিশুর ওপর এমন অমানবিক নির্যাতন আমি কীভাবে সইব? আমি এই নরপশুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদুল কবীর জানান, প্রাথমিক অবস্থায় শিশুকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : পিঠা কিনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশু

বিষয়টি নিশ্চিত করে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান দৈনিক অধিকারকে বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। ধর্ষিতার পিতার মামলার প্রেক্ষিতে ধর্ষককে গ্রেপ্তারের জন্য ওসি তদন্তের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে ধর্ষক আলামিনকে তার গ্রামের বাড়ি পলাশ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওডি/জেএস