ঝিনাইদহ
শহরের পুকুর ও জলাশয়গুলোতে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। আর এই আবর্জনার দুর্গন্ধে পাশ দিয়ে হাঁটা যায় না। জীবিত পুকুরগুলোতে ময়লা আবর্জনা ফেলে এভাবেই ভরাট করা হচ্ছে। এর ফলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এমনই চিত্র দেখা গেছে ঝিনাইদহ শহরের পুকুর ও জলাশয়গুলোতে।
সত্তরের দশকে শহরে প্রায় দেড় শতাধিক পুকুর ও জলাশয় ছিল। বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ২০টি তে। এর অধিকাংশই আবার ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে।
ঝিনাইদহ শহরের হাটখোলা সরকারি পুকুরে বিভিন্ন স্থান থেকে যে যার মতো আবর্জনা ফেলছে। এমনকি নতুন মাছ বাজারের ময়লাগুলোও সেখানে ফেলা হচ্ছে।
গত ১০ বছর যাবত এমনই চলছে বলে জানান স্থানীয় মুদি দোকানি পিকুল মালিথা। তিনি বলেন, এখানে আগে খুব পানি ছিল। পরে পুকুরটি ভরাট হতে শুরু হওয়ার সেখানে বসতে শুরু করল পশু হাট। এখানে প্রচুর দুর্গন্ধ। কোনো রকমের পেটের দায়তে দোকান চালাই।
হামদহ এলাকার এক পুকুর মালিক মিয়া তোফাজ্জেল জানান, পরিবারের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বসতবাড়ি আর আর্থিক সচ্ছলতার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে যে পুকুরটি ছিল আমরা সেটি ভরাট করছি। কারণ নতুন করে জমি কেনার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ অনেকেরই নেই।
জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত ঝিনাইদহ দমকল বাহিনীর স্টেশন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সরকার বলেন, জলাশয় না থাকার কারণে শহরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে নিকটে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দূরবর্তী স্থান থেকে পানি এনে তা নির্বাপণ করতে অনেক সময় লাগছে। এতে অনেক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। তাই জলাশয়গুলো রক্ষাকরা খুবই জরুরি।
সরকারি কেসি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলছেন, জীবিত পুকুরগুলোতেও যত্রতত্র ময়লা ফেলা হচ্ছে। আর তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়ছে। তাই এই ক্ষতি রোধে পুকুর কিংবা জলাশয়গুলোকে বাঁচানো খুবই জরুরি।
আরও পড়ুন : গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনি, প্রাণ গেল ৩ জনের
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ দৈনিক অধিকারকে বলেন, মানুষের সচেতনতার অভাবই এর মূলে দায়ী। তাই মানুষকে বেশি সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি শহরের পুকুরগুলো যেন আর ভরাট করা না হয় এজন্য আগামীতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হবে। পাশাপাশি সরকারি জলাশয়কে দূষণমুক্ত করতে কাজ করা হবে।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড