• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মাগুরায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত

  মাগুরা প্রতিনিধি

১৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৬:০০
গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার অনুষ্ঠিত হলো গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ও গ্রামীণ মেলা। রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার বড়রিয়া গ্রামের এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

এখনে বিভিন্ন বয়সের হাজার-হাজার নারী পুরুষ দর্শকের উপস্থিতে গোটা এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রায় ২শ বছর ধরে প্রতি বছর পৌষ মাসের ২৮ তারিখে স্থানীয় গ্রামবাসীর উদ্যোগে এ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রাচীনকালে মূলত ঘোড়ার গাড়িই ছিল মানুষের প্রধান বাহন। প্রাচীন এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতি বছরই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

এবারের ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় নড়াইলের লোহাগড়া, রাজবাড়ীর পংশা, ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা, মাগুরা সদর এবং মহম্মদপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা বিভিন্ন নামে (বাংলার নবাব, পঙ্খিরাজ, পবনরাজ, রাজদুলাল, বাহাদুর, সোনারতরী) ১৫টি ঘোড়া অংশ নেয়।

এরমধ্যে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পাল্লা শির গ্রামের আজাদ মিয়ার ঘোড়া প্রথম, একই উপজেলা সদরের ফুল মিয়ার ঘোড়া দ্বিতীয় ও রাজবাড়ী জেলার পাংশা থেকে আসা আতিয়ার রহমানের ঘোড়া তৃতীয় স্থান অর্জন করে।

এদিকে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাবার ও পণ্য সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। মেলায় শিশুদের বাড়তি বিনোদনের জন্য নাগোরদোলা, চরকাসহ ছিল নানা আয়োজন। ঘোড়দৌড় ও মেলায় মাগুরাসহ আসে পাশের জেলা থেকে বিভিন্ন বয়সের হাজার-হাজার নারী পুরুষ দর্শকের আগম ঘটে। উপস্থিত দর্শকরা গোট আয়োজন উপভোগ করে মুগ্ধ হন।

এ দিকে, প্রায় তিন বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে মেলা বসে। মেলায় বাঁশ-বেত, আসবাবপত্রসহ নানান পরসা সাজিয়ে হাজার হাজার দোকান বসে নানা স্থান থেকে। মেলার আনুষ্ঠানিকতা তিন দিন হলেও চলে সপ্তাহব্যাপী। বিনোদনের জন্য সার্কাস, পুতুল নাচ যাত্রা ও বিচারগান এ মেলার অন্যতম আকর্ষণ।

ঘোড়া দৌড় দেখতে আসা দর্শনার্থী সাবিহা মাহবুব জানান, আমরা প্রতি বছর এ মেলা দেখতে আসি। ঘোড়দৌড় দেখতে আমার ভালো লাগে। তাই প্রতি বারই ছুটে আসি মেলা দেখতে।

রাজবাড়ী জেলার পাংশা থেকে ঘোড়া নিয়ে আসা আতিয়ার রহমান বলেন, আমরা ঘোড়া চালাতে ভালো লাগে। আর আমার বাপ-দাদারাও এই কাজই করতেন তাই আমি করি।

ঘোড়ার সোয়ার ইমদাদুল ইসলাম রুমোন বলেন, ছোট বয়সেই আমি ঘোড়ার সোয়ার হিসেবে থাকি এ থেকে টাকা পায় করিব মানুষ সংসার চালায়। আর এটা করতে আমার ভালো লাগে।

আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ৫টি ভেজাল পেট্রোল-অকটেন কারখানায়

মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি শাহাজান শিকদার বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে এ ঘোড়দৌড় ও মেলা অনুাষ্ঠত হয়ে আসছে। এলাকার সকলে মিলে আনন্দ উপভোগ করার জন্য তারাও এ আয়োজন।

ওডি/ এফইউ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড