ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার ওসি সোহেল রানার ফ্ল্যাটে প্রকাশ্য দিবালোকে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলী মহল্লার ওয়াসিত্ব টাওয়ারের সপ্তম তলায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত ও আলামত সংগ্রহ করে।
সূত্র জানায়, ওসি সোহেল রানার পরিবার গত মাসের ২৭ তারিখ ওয়াসিত্ব টাওয়ারের সপ্তম তলার এ-সেভেন নম্বরের ওই ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন।
জানা যায়, শনিবার সকালে ওসি সোহেল রানা চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারত রওনা হন। আর তার স্ত্রী নাহিদা পারভিন ডলি দুই মেয়েকে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জ শহরে বাবার বাড়ি বেড়াতে যান।
ওসি সোহেল রানার একজন স্বজন জানান, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে দেখেন দরজার তালা ভেঙে সবকিছুই নিয়ে গেছে চোরচক্র। ঘরের আলমারি ও অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ করা ছিল। ওসির ভাইদের বিদেশ থেকে পাঠানো মূল্যবান ঘড়ি ও ল্যাপটপসহ নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও আরও কিছু মালামাল নিয়ে গেছে তারা।
তিনি জানান, সকাল ৯টার কিছুক্ষণ আগে কাজের বুয়া পাশের ফ্ল্যাটে কাজ করতে আসেন। এ সময় তিনি সোহেল রানার ফ্ল্যাটের দরজা খোলা ও সেখানে দুইজন লোক দেখতে পান। বুয়াকে দেখে তারা ধমক দিলে তিনি ওপরে গিয়ে আট তলার বাসিন্দাদের বিষয়টি জানান। তারা তৎক্ষণাৎ নিচে নেমে এলেও কাউকে পাননি।
আরও পড়ুন: পাটগ্রাম সীমান্তে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
ভবনের বাসিন্দারা জানান, ওই ভবনে তিনজন গার্ড রয়েছে যারা পালাক্রমে ডিউটি দেয়। তবে ঘটনার সময় ১০ মিনিটের জন্য দায়িত্বরত গার্ড টয়লেটে গিয়েছিল। বিষয়টি বেশ রহস্যের সৃষ্টি করেছে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাঁচটি বিভাগ তাদের নিজ নিজ পদ্ধতিতে ঘটনার তদন্ত ও আলামত সংগ্রহ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দার ধারণা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ এ ঘটনায় খোয়া গেছে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই বেলাল হোসেন বিষয়টিকে সাধারণ চুরির ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, কখন এ ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি এখনো জানা যায়নি। কী পরিমাণ সম্পদ খোয়া গেছে সেটি বাসার কেউ স্পষ্ট করে জানায়নি।
ঘটনার সময়কাল নিয়েও তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, তিন দিন তালাবদ্ধ ছিল ওই ফ্ল্যাট। এরপর তালা ভেঙে চোরচক্র মালামাল নিয়ে যায়। কাজের বুয়ার বক্তব্যকে তিনি তেমন গুরুত্ব দেননি।
তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এছাড়া অন্যান্য বিভাগের পক্ষ থেকেও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক কিংবা থানায় কেউ লিখিত অভিযোগও করেনি।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড