সাভার প্রতিনিধি
ঢাকার ধামরাইয়ে বাসে মমতা আক্তার (১৯) নামে এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে বাসটির চালককে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আটক বাসচালক সোহেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে অভিযুক্ত বাসচালককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা। এর আগে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) গভীর রাতে ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হিজলী খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে একটি জঙ্গল থেকে ওই শ্রমিকের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আটক সোহেল (৩০) ফরিদপুর জেলার আমানত খানের ছেলে। সে ধামরাই উপজেলার জেঠাইল গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাসচালকের কাজ করত।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের শাজাহান মিন্টুর মেয়ে মমতা আক্তার (১৯) ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ডাউটিয়া এলাকায় প্রতীক সিরামিক্স কারখানায় কাজ করেন। প্রতিদিন ওই কারখানায় সকাল ৬টায় কাজে যোগ দিতে হতো তাকে। গতকাল শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মমতার মা জুলেখা বেগম তার মেয়েকে বাড়ির পাশ থেকেই একটি বাসে কারখানায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে উঠিয়ে দেন। কিন্তু সন্ধ্যার পরও মমতা বাড়ি ফিরে আসেনি। পরিবারের বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি পরিবার। পরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ধামরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন মমতার পরিবার।
এরপর পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা রাতে কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ দিয়ে তাকে খুঁজতে থাকেন। পরে সড়কের পাশে হিজলী খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের একটি জঙ্গলে মমতার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।
ধামরাই থানাধীন কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) রাসেল মোল্লা জানান, খবর পেয়ে রাতেই মমতা নামে ওই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেন তারা। এ সময় লাশের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া নিহতের নারীর পরনের জামা ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, থানায় জিডি হওয়ার পরই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে রাতেই আমরা হত্যাকারীসহ বাসটিকে আটক করতে সক্ষম হই। আটক বাসচালকের মুখে হাতে ও গলায় মেয়ের নখের আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন : আশুলিয়ায় নারী পোশাক শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু
তবে ওই শ্রমিককে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে কি না বিষয়টি অধিকতর তদন্ত ও মেডিকেল রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড