মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ভাবি ও ভাতিজাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দেবর। জবানবন্দিতে পরকীয়ার কারণে এই খুন করে বলে আদালতকে জানিয়েছেন দেবর সোলাইমান।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভোরে সাটুরিয়া উপজেলার উত্তর কাউন্নারা গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- সৌদি প্রবাসী মজনু মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগম (২৬) ও তার ছেলে আব্দুর নূর (৬)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার উত্তর কাউন্নারা গ্রামের কারী আব্দুর রহমানের ছেলে মজনু মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে সৌদি প্রবাসী ছিলেন। এরই সুযোগে মজনু মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগম (২৬) সঙ্গে তার দেবর মো. সোলাইমানের (২৮) পরকীয়ার সর্ম্পক গড়ে তোলেন। তিন মাস আগে সোলাইমান মালয়েশিয়া থেকে পড়াশোনা শেষে বাড়িতে এলে ভাবি পারভীন বেগম সোলাইমানকে বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। সোলাইমান তার ভাই ও দুই ভাতিজার কথা চিন্তা করে তার আপন ভাবি পারভীনকে বিয়ে করতে রাজি হননি।
গত ৮ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে তাদের পাশের ফ্ল্যাটে ভাবির ইউনিটে প্রবেশ করে সোলাইমান। এ সময় তার ভাবি পারভীন তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। যদি সোলাইমান পারভীনকে বিয়ে না করে তাহলে পারভীন তার নিজের দুই সন্তান, স্বামী ও সোলাইমানেকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। সোলাইমান তখন ভাবির কথায় ক্ষিপ্ত ও উত্তেজিত হয়ে বেড থেকে নেমে রুমের ভিতর থাকা ধারালো চাকু নিয়ে বেডের ওপর উঠে ভাবি পারভীনের গলায় চাকু দিয়ে আঘাত করেন।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল চালককে পিষ্ট করল প্রাইভেটকার
এ সময় পারভীনের হাত-পা ছোড়াছুড়িতে ভাতিজা আব্দুর নুরের ঘুম ভেঙে যায়। ভাতিজা সোলাইমানকে চিনে ফেলে এবং মায়ের গলার রক্ত দেখতে পায়। সোলাইমান তাকেও চাকু দিয়ে আঘাত করেন। এর ফলে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত হলে সোলাইমান বাথরুমে গিয়ে চাকু ও পরিহিত কাপড়ের রক্ত ধুয়ে ফেলেন। পরবর্তীতে সোলাইমান ভাবির বেড রুমের দরজা ও ইউনিটের মূল দরজা চাপিয়ে দিয়ে নিজের রুমে গিয়ে শুয়ে পড়েন।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড