অর্ধশতাধিক ক্যামেরার আওতায় পুরো বাজার

পাবনার সাঁথিয়া-বেড়া ও সুজানগর উপজেলার সম্মেলনস্থল কাশীনাথপুর বাজার এলাকায় অর্ধশতাধিক সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কাশীনাথপুরের ফুল বাগান মোড়ে জাতসাখিনী ইউনিয়ন পরিষদ ও কাশীনাথপুর ফুলবাগান ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির উদ্যোগে এ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে জেলার অন্যতম এ বাণিজ্য কেন্দ্র নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে এলো বলে উদ্যোক্তারা দাবি করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনার বেড়া উপজেলার জাতসাখিনী ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আনাম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) শেখ জিল্লুর রহমান, সিনিয়র পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন, আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম, কাশীনাথপুর ফুলবাগান ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মোল্লা।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন রূপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাশেম উজ্জ্বল, বেড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ মোল্লা, জাতসাখিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিবর রহমান ও হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘কাশীনাথপুর ফুলবাগান মোড় এলাকায় এ উদ্যোগ নেওয়ায় জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের বিরাট উপকার হবে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, ইভটিজিংসহ যাবতীয় অনৈতিক কাজ থেকে এলাকা মুক্ত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’

বক্তারা জাতসাখিনী ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবুর এ কাজের প্রশংসা জানিয়ে বলেন, ‘এতে করে এ বাণিজ্য কেন্দ্রটি আরও সুরক্ষিত থাকবে।’

আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে কীভাবে মারা হবে তার ভিডিও ছাড়ল ইরান

এ কাজের অন্যতম উদ্যোক্তা ও সমন্বয়কারী, জাতসাখিনী ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু জানান, তাদের ইউনিয়ন পর্যায়ের এই বাজার এলাকাটি পাবনা জেলার মধ্যে সর্বপ্রথম সিসি ক্যামেরার আওতায় আসা ডিজিটালাইজড বাজার।

তিনি জানান, তাদের এ মনিটরিং ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় থাকবে। এ জন্য ৫ থেকে ৬টি মনিটর রাখা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমও স্থাপন করা হয়েছে। তিনি জানান তাদের এ উদ্যোগের সঙ্গে কাশীনাথপুর ফুলবাগান ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মোল্লাসহ সদস্যরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।

তিনি জানান, তার পরিষদের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ব্যবসায়ীদের সাহায্যে এ উদ্যোগটি সফল করতে পেরেছেন।

জাতসাখিনী ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু আরও জানান, যদি আরও কেউ সহায়তা করে তাহলে আমরা পুরো এলাকায় আরও ক্যামেরা সংযোজন করতে পারব। এতে এলাকা থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাঁদাবাজি, মাদক, ইভটিজিংসহ অন্যান্য অপকর্ম দূর হবে।

সাধারণ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এরপর থেকে এ এলাকায় অপরাধমূলক কাজ কমে অসবে বলে তারা আশা করে না। আর কোনো অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত হলেও অপরাধীদের সনাক্ত করতে সুবিধা হবে।

আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, সিসি ক্যামেরা দ্বারা জনগণের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনও উপকৃত হবে। এজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে এমন আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ওডি/এএসএল