মো. জাবেদ শেখ, শরীয়তপুর
শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে ডাক্তার, নার্স ছাড়াই চলছে অনুমোদনহীন বেসরকারি ডায়াবেটিস, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল। শর্ত পূরণ করে অনুমোদন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন পরিচালকবৃন্দ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সখিপুরে নিউ ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালটি প্যাথলজি পরীক্ষা নিরীক্ষাসহ জরুরি বিভাগ ও রোগী ভর্তি করে ১০ শয্যা হাসপাতালের আদলে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে। এই হাসপাতাল পরিচালনার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো প্রকার অনুমোদন নেই। কাগজ-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান ও জনবল। বাস্তবে কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি।
প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মিরাজের কাছে হাসপাতালের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র রয়েছে। সে সিভিল সার্জন অফিসে অনুমোদনের জন্য গিয়েছেন বলে দাবি করেন মালিক পক্ষের সাব্বির মাদবর।
কিন্তু মিরাজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে আলাপকালে জানায় তিনি ফরিদপুরে গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে রয়েছেন।
এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কামরুজ্জামান মানিক সরদার জানান, ৪০ জন মিলে এলাকাবাসীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে অত্যাধুনিক এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল তৈরি করেছেন। হাসপাতালে সর্বাধুনিক আসবাবপত্র ও মেশিন কিনেছেন। রিপা পান্ডে নামে একজন ডাক্তার সার্বক্ষণিক হাসপাতালে থাকেন। এছাড়াও আরও চারজন ডাক্তার একদিন করে সপ্তাহের চারদিন বসেন। একজন নার্স রয়েছে তবে আবাসিক মেডিকেল অফিসার নেই। পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন।
বাজারের ভেতরে সখিপুর ডায়াবেটিস ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে আরও একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ডিরেক্টর হারুন অর রাশিদ জানান, ১২ জন মালিক মিলে এই স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীম মাহমুদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলাউদ্দিন।
গত বছরের আগস্ট থেকে ডায়াবেটিস ও ডায়াগনস্টিক সেবা শুরু হয়েছে। এই পর্যন্ত তারা স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি পাওয়ার জন্য কোনো আবেদন করেননি। খুব শিগগিরই অনুমতির জন্য আবেদন করবেন।
বাজারে অবস্থিত সখিপুর ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে আরও একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সেই প্রতিষ্ঠানের অনুমতি রয়েছে তবে চলতি অর্থ বছরে নবায়ন হয়নি বলে নোটিশ করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী গোলাম মোস্তফা জানান, সখিপুরে অবস্থিত নিউ ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতাল ও সখিপুর ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনের জন্য এই পর্যন্ত কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। তবে সখিপুর ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিগত বছরে অনুমোদন ছিল তা হালনাগাদ করা হয়নি।
আরও পড়ুন : হাসপাতালে বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে
স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সিভিল সার্জন ডা. মো. খলিলুর রহমান দৈনিক অধিকারকে বলেন, অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানকে দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে আবেদন করলে পুনরায় পরিদর্শন করে অনুমোদনের প্রক্রিয়া করা হবে। অন্যথায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড