বাগেরহাট প্রতিনিধি
শুষ্ক মৌসুম শুরু হতে না হতেই বাগেরহাটের ছয়টি উপজেলায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নিরাপদ পানির পর্যাপ্ত উৎস না থাকায় পুকুর, খাল ও নদীর পানি পান করছেন এসব এলাকার মানুষ। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে পানিবাহিত রোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর থেকে উপজেলাগুলোতে স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আড়াই হাজার পিএসএফ (পন্ড স্যান্ড ফিল্টার) স্থাপন করে। কিন্তু বর্তমানে এসব পিএসএফের বেশিরভাগই অকেজো। লবণাক্ততার কারণে নলকূপ নেই। ফলে সুপেয় পানির সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি বাজার এলাকার বাসিন্দা মান্না রবি দাস জানান, মূলত নদী ও খালের পানি ফুটিয়ে পান করেন। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
শরণখোলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের এমাদুল হোসেন জানান, বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে পুকুরের পানি সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে হয়। এসব পানি ব্যবহারের ফলে পেটের ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ায় ভুগতে হয়। কিন্তু এ পানি পান করা ছাড়া উপায় নেই।
বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন পুলক দেবনাথ বলেন, শীতের সময় এসব এলাকার মানুষ তুলনামূলক বেশি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অধিকাংশই আক্রান্ত হচ্ছে পানিবাহিত রোগে। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে পানিবাহিত রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন : পুলিশের চাওয়ার কিছু নেই : প্রধানমন্ত্রী
বাগেরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শামীম আহমেদ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে এক লাখ ট্যাংক বিতরণ প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। এসব ট্যাংকে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা যাবে। এটি বাস্তবায়ন হলে পানির সংকট অনেকটা কমে আসবে। এছাড়া পানির সংকট সমাধানে গত দুই বছরে ওই ছয় উপজেলায় ৬৫টি পুকুর খনন করা হয়েছে।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড