ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই ফরহাদ, এসআই কামরুজ্জামান, এএসআই রবিউল ইসলাম, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর হোসেন। একই ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস সাত্তার ফকির, যুবলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন, বাপ্পি, জুয়েল হাওলাদার ও শাওন আহমেদসহ আরও একজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকরা পৃথকভাবে মিছিল বের করে। এক পর্যায়ে মিছিল দুটি সদরপুর স্টেডিয়াম এলাকায় মুখোমুখী হলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষই ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ সদরপুর স্টেডিয়ামে ‘মুজিব বর্ষ-২০২০ প্রীতি ফুটবল ম্যাচের’ মঞ্চ ভাঙচুর করে।
পরবর্তীকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। এই সংঘর্ষে চারজন পুলিশসহ উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হলে তাদের সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান মীম অভিযোগ করেন, ফরিদপুর-৪ আসনে (স্বতন্ত্র) সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর সমর্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী তাদের ওপর অতর্কিতভাবে এই হামলা চালায়।
এ দিকে, সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক ও উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। দীর্ঘদিন এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছি। কীভাবে আমি ছাত্রলীগের মিছিলে হামলা করতে পারি?’
তিনি বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়ে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। গত তিন দিন আগে কাজী জাফর উল্লাহ সাহেব সদরপুরে জনসভা করে উসকানিমূলক বক্তব্য রেখেছিলেন। এ কারণে সংঘর্ষ হতে পারে।’
এ ব্যাপারে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ লুৎফর রহমান দৈনিক অধিকারকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড