ছাত্র হত্যার দায়ে দুই শিক্ষক আটক

গাজীপুরের মরাশ জান্নাতুল বাকী হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার কম্পাউন্ডের ভেতরে আদিল (৪) নামে এক মাদরাসা ছাত্রকে শ্বাসরোধে হত্যার খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয়দের সহযোগিতায় বুধবার (১ জানুয়ারি) রাত ৯টায় কালীগঞ্জের জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই মাদরাসার দুই সহকারী শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার বিকালে আদিল মাদরাসার পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তাকে খুঁজে না পেয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়।

এই সংবাদে এলাকাবাসী মাদরাসার পুকুর ও কক্ষসহ বিভিন্ন স্থানে আদিলের খোঁজ করেও তাকে পায়নি। এক পর্যায়ে মাদরাসায় কর্মরত সহকারী শিক্ষক জোনায়েদ আহমেদ ও খাইরুল ইসলামের চলাফেরায় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তাদের আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা আদিলকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে জোনায়েদ আহমেদের কক্ষের কেবিনেটের ড্রয়ারের ভেতর থেকে আদিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আদিল ওই মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মুফতি জোবায়ের হোসেন শাহিনের ছেলে। সে তার বাবা মায়ের সঙ্গে মাদরাসার কম্পাউন্ডে থেকে ওই মাদরাসায় লেখাপড়া করত।

হত্যাকারী জোনায়েদ আহমেদ হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের মৃত নোয়াব আলীর ছেলে এবং খাইরুল ইসলাম একই এলাকার জফু মিয়ার ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম মিজানুল হক বলেন, ‘নিহতের বাবা বাদী হয়ে বুধবার রাতেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যায় জড়িত দুইজনকে কারাগারে এবং মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

ওডি/এএসএল