চাঁদপুর প্রতিনিধি
যেখানে পাবলিক নেই সেখানে স্থাপন করা হয়েছে চাঁদপুরের পাবলিক লাইব্রেরি। এটি প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল আশির দশকে। শহরের জনবহুল এলাকা জোড় পুকুর পাড়ে চলে এর কার্যক্রম। সেখান থেকে ২০১০ সালে এটি স্থানান্তর করে নিয়ে যাওয়া হয় শহরের স্ট্র্যান্ড রোডে। অতঃপর এ বছরের জুলাই মাসে এটি চলে যায় তার স্থায়ী কার্যালয় বিটি রোডে। যেটি শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে।
২০১০ সালের ১ নভেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ২২ শতাংশ জায়গার উপর পাঁচ কোটি চুয়াত্তর লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই পাঠাগারে বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ের চব্বিশ হাজার বাষট্টিটি বই রয়েছে। এখানে জাতীয় পত্রিকা নয়টি এবং স্থানীয় একটিসহ দশটি পত্রিকা রাখা হয় পাঠকদের জন্য। এতে পত্রিকা পাঠের জন্য একটি কক্ষ, বই পাঠের জন্য একটি এবং রয়েছে একটি শিশু কর্নার কক্ষ। সপ্তাহে শনি থেকে বুধবার পর্যন্ত খোলা রাখা হয় এটি। কিন্তু শহরতলী থেকে অনেক দূরে হওয়ায় পাঠক শূন্যতায় ভুগছে লাইব্রেরিটি। শহর থেকে একজন পাঠক সেখানে যেতে চাইলে তাকে যাতায়াত ভাড়া গুণতে হবে চল্লিশ টাকা।
লাইব্রেরির পাঠক কক্ষে দুই শতাধিক লোকের ব্যবস্থা থাকলেও সরেজমিনে পাওয়া যায় মাত্র এগারজন পাঠক।
শহর থেকে আসা পাঠক মাহমুদুল হাসান জানান, এটি শহর এলাকায় থাকাকালে প্রতিদিন আসতাম, এখন মাঝে মধ্যে আসি।
অপর পাঠক আব্দুল্লাহ বলেন শহর থেকে দূরে হওয়ায় এবং যাতায়াত খরচ বেশি হওয়ায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আসা হয় না।
এছাড়া এখানে রয়েছে নানা সমস্যা। প্রতিষ্ঠার এক বছর অতিক্রম করলেও এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। আটজন জনবল থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র দুই জন। এ দুই জন সহকারী লাইব্রেরিয়ান দিয়েই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এটি।
এসব সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী লাইব্রেরিয়ান আব্দুল করিম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এসব বিষয় জানানো হয়েছে। খুব শিগগিরই জনবল নিয়োগ ও বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। এছাড়া ধীরে ধীরে পাঠক সংকট দূর হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড