দিনাজপুর প্রতিনিধি
লাউয়ের আবাদ করে সুদিনের দেখা পেয়েছেন দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার কেশবপুর গ্রামের শিক্ষিত যুবক শাহাদাৎ হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে বেকারত্বের ঘানি টানতে টানতে ক্লান্ত শাহাদাৎ এখন লাউ চাষ করে স্বাবলম্বী।
একসময় নিজের জীবন-জীবিকা থমকে যাওয়া শাহাদাতের জমিতে আশেপাশের লোক কাজ করে তাদের সংসার চালাচ্ছে। এতে একদিকে শাহাদাৎ লাউ চাষে তার ভাগ্যের চাকা যেমন ঘুরেছে। তেমনিভাবে শ্রমিকরাও তার জমিতে কাজ করে বাড়তি আয়ের মুখ দেখছেন।
মোট সাড়ে তিন বিঘা অন্যের জমি লিজ নিয়ে কেশবপুর গ্রামের শিক্ষত যুবক শাহাদাৎ হেসেন লাউ চাষ আরম্ভ করেন। এতে তার খরচ হয় প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। হাইব্রিট জাতের লাউ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সার, বীজ ও কীটনাশক ব্যবহার করেন জমিতে। সেই সঙ্গে অভিজ্ঞ কৃষকের কাছ থেকে পরামর্শও গ্রহণ করেন। সারাদিন শ্রমিকের পাশাপাশি শাহাদাৎ নিজেও লাউ গাছে পরিচর্যা কাজে ব্যস্ত থাকেন। রাসায়নিক সারের পাশাপাশি দেশীয় সবুজ সার ও গোবর সার তার জমিতে ব্যবহার করেন।
লাউ চাষে শাহাদাতের সফলতা দেখে কেশবপুর গ্রামের অনেক কৃষক আগামীতে লাউ চাষ করবেন বলে জানান। লাউ চাষ খুব লাভজনক হওয়ায় এবার গ্রামের লোক লাউ চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
তাছাড়া লাউ বিক্রিতে কোনো অসুবিধা হয় না। বিভিন্ন হাট বাজারে লাউয়ের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। অন্যদিকে জমি থেকে লাউ কিনে ব্যবসায়ীরা রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়।
কৃষি অফিসের কোনো পরামর্শ বা সহযোগিতা ছাড়াই শাহাদাৎ লাউ চাষে এগিয়ে আসেন। তিনি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করলেও তা থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকারও বেশি আয় করবেন বলে আশা করছেন।
বেকারত্বের অভিশাপ থেকে সহজে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ বাণিজ্যিক ভিত্তিক চাষাবাদ। নিজের জমি না থাকলেও অন্যের জমি লিজ বা বন্দোবস্ত নিয়ে লাউ চাষে কৃষিখাতে অবদান রাখতে পারেন যে কেউ। ঘুরাতে পারেন ভাগ্যের চাকা।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড