ঝালকাঠি প্রতিনিধি
দক্ষিণের জনপদ ঝালকাঠি জেলা সবজি ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত। জেলার শতাধিক গ্রামে শীতকালীন সবজি চাষ হয়। সেই সঙ্গে আউশ, আমন, বোরো ধান, পেয়ারাসহ বিভিন্ন ধরনের কৃষির মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য বরিশাল বিভাগ ছাড়িয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
শুধু দেশের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ থাকছে না। যাচ্ছে বিদেশেও। অনেক ব্যবসায়ী ঝালকাঠির পণ্য বিদেশে রপ্তানি করছেন আবার অনেকে আত্মীয়-স্বজনদের জন্য বিদেশে প্যাকেট করে সাধ্যমত কৃষি পণ্য নিয়ে যাচ্ছেন। কৃষি অফিসের তথ্য মতে, প্রায় সাড়ে ৭শ বর্গকিলোমিটার আয়তনের উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে বর্তমানে মোট কৃষি জমি রয়েছে ৫৩ হাজার ৩১৯ হেক্টর। এ জমিতে চাষাবাদে নিয়োজিত সকল কৃষকরা স্বচ্ছল না। তাই বেশিরভাগ কৃষকই সরকারি ঋণ সহায়তা নিয়ে চাষাবাদ করছেন।
ঝালকাঠি জেলা কৃষি ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংক আধা সরকারি অফিসের মাধ্যমে কৃষকদের ঋণ সহায়তা প্রদান করে। এ জেলায় ৪ হাজার ৭৭২ জনের মধ্যে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ২৪ কোটি ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা কৃষি ঋণ বিতরণ কমিটির সভায় এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
বিতরণকৃত ঋণের মধ্যে শস্য খাতে ১৫ কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা, মৎস খাতে ১ কোটি ৩২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা, প্রাণিসম্পদ খাতে ২ কোটি ২০ লাখ ৩ হাজার টাকা, সেচ ও কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় খাতে ৫২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, দারিদ্র বিমোচন খাতে ৯৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা ৩ শতাং সুদে ডাল ও মশলা জাতীয় ফসল উৎপাদন খাতে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং অনান্য খাতে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলায় ১৮টি ব্যাংকের মাধ্যমে জানুয়ারি ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৩১২ কোটি ৫২ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২০ হাজার ২০৯ জনের মধ্যে ১১৩ কোটি ৮৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণের হার ৩৭ শতাংশ।
এ দিকে নভেম্বর মাসে ২০ কোটি ৯৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা কৃষি ঋণ আদায় করা হয়েছে। জেলায় ১৯৪ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা আদায় লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বছরের প্রথম ৫ মাসে ৯৩ কোটি ৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা আদায় হয়েছে। আদায়ের হার ৪৮ শতাংশ।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড