• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নিজেদের সম্পত্তি দাবি করে নদীতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ

  মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:২৮
কাজল রেখা নদী
কাজল রেখা নদীর পাড় দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ (ছবি : দৈনিক অধিকার)

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার কাজল রেখা নদীর পাড় দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার আলদী এলাকার দুই সহোদর হানিফ হালদার ও শাহবুদ্দিন হালদারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আলদী বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কাজল রেখা নদীর পাড় দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে শ্রমিকরা। প্রশাসনের চোখ এড়াতে নির্মাণ কাজের সামনের অংশে টিন দিয়ে বেড়া তৈরি করা হয়েছে। বেড়ার আড়ালে ৭ থেকে ৮ জন শ্রমিক নদীপাড় দখল করা জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। ঠিক তার পাশেই কাঠ ও টিনের ঘরের আড়ালে রড দিয়ে আরও একটি স্থাপনার পিলার তৈরি করে রাখা হয়েছে।

ওই স্থানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের ব্যাপারে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, নির্মাণাধীন ওই স্থাপনা দুটি শাহাবুদ্দিন ও হানিফ হালদারের। শ্রমিকরা শাহাবুদ্দিনের দোকান ঘর নির্মাণ করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, শাহাবুদ্দিন হালদারের নির্মিতব্য স্থাপনার পূর্ব পাশে তার বড় ভাই হানিফ হালদারের টিন ও কাঠ দিয়ে নদী দখল করে গড়ে তোলা দোকান ঘরটি ভাঙেনি। প্রশাসনের চোখ এড়াতে ঘরের পাটাতনের নিচের অংশে নদী দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করার পিলার তৈরি করছেন। ইতোমধ্যে পিলার পাটাতন সমান করে তার ওপর রডও বিছানো হয়েছে। ঢালাইয়ের প্রস্তুতি চলছে।

এছাড়াও শাহবুদ্দিনের নির্মিতব্য দোকানের পশ্চিম পাশে সদর উপজেলার নুর পুকুরপাড় এলাকার অলি হালদার গড়ে তুলেছেন আরেকটি অবৈধ স্থাপনা।

আরও পড়ুন: কক্সবাজারে কথিত চিকিৎসক আটক

স্থানীয়রা জানান, কাজল রেখা নদীর পাড়ে শুধু শাহাবুদ্দিন, হানিফ ও নুর হোসেনরা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেনি। তাদের মতো এমন কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫ জন পাকা স্থাপনা বানিয়েছে। এছাড়া নদীর পাড়ে আরও ৩০ থেকে ৪০টি কাঠের মাচা দিয়ে দোকান ঘর বানানো হয়েছে। যারা দোকান বানিয়েছেন সবাই দাবি করছেন তারা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর দোকান নির্মাণ করেছেন। নদী কারও পৈতৃক সম্পদ হতে পারে কি না জানা নেই।

এ ব্যাপারে শাহবুদ্দিন হালদার জানান, ওই জমি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। তারা নদী দখল করেনি। তাদের কাছে জায়গার কাগজ পত্র রয়েছে। তবে টিনের ঘরে দুই-তিন ফুট জায়গা নদীর মধ্যে পড়েছে। তা ভেঙে দেওয়া হবে।

টিন দিয়ে আড়াল করে স্থাপনা নির্মাণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই সম্পত্তি নিয়ে তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলছে। তাই আড়াল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। এ সময় তাদের কাগজ পত্র দেখতে চাইলে দুই দিন সময় নেন শাহবুদ্দিন। এরপরও কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি।

এ ব্যাপারে কাঠাদিয়া শিমুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) হান্নান মিয়া জানান, আমি ওই স্থাপনা নির্মাণে কয়েকবার বাধা দিয়েছে। ওরা স্থাপনা নির্মাণ করছে। এটি ভাঙার জন্য ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।

টঙ্গীবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি উছেন মে জানান, ওই স্থানে স্থাপনা নির্মাণকারীরা তাদের স্থাপনা নিজেরাই ভেঙে নিয়ে যাবে বলে কয়েকদিন সময় চেয়েছে। নিজেরা না ভেঙে নিলে আমরা ওই স্থাপনা ভেঙে দেব।

ওডি/এএসএল

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড