নীলফামারী প্রতিনিধি
পৌষের শুরুতেই হিমালয়ের পাদদেশের উত্তরের জেলা নীলফামারী ঢাকা পড়েছে ঘন কুয়াশার চাদরে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় গত তিনদিন থেকে দেখা মেলেনি সূর্যের। এ দিকে সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমশীতল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কনকনে শীতে চরমে উঠেছে শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ। বেড়েছে শীতজনিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। এতে বেশি আক্রান্ত হয়ে পড়ছে শিশুরা। রংপুর অঞ্চলে মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ৯.০৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাবে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন- কনকনে শীতে নওগাঁর জনজীবন বিপর্যস্ত
নীলফামারী অঞ্চলে অগ্রহায়ণের শুরুতে বেড়ে যায় শীতের প্রাদুর্ভাব। এবারে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাস শীতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। সরকারিভাবে শীতার্তদের মধ্যে ৩৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও চাহিদা পত্র অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তীব্র শীতেও অনেকের হাতে পৌঁছেনি শীতবস্ত্র। বিশেষ করে শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছে হতদরিদ্ররা। হাসপাতালে বেড়েছে শীতে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা।
শীতার্ত মানুষেরা শীতবস্ত্র পাওয়ার আকুতি জানিয়ে বলেন, খালি কাঁথার নিচে ঘুম হয় না অনেক ঠান্ডা লাগে। তাই রাতে আগুন জ্বালিয়ে শরীরে তাপ দিতে হয়।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এস এ আহাদ বলেন, নীলফামারী জেলায় শীতার্তদের মধ্যে ৩৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও শীতবস্ত্রের জন্য চাহিদাপত্র অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এনামুল হক বলেন, শীতজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এসব শিশু ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ছুটছে হাসপাতালে।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড