• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হিমালয়ের হিমেল হাওয়া জেঁকে বসেছে পঞ্চগড়ে

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

২০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:৩৫
শীত
শীত (ছবি : দৈনিক অধিকার)

হিমালয়ের কোল ঘেঁষে বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের অবস্থান। হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। হাড় কাঁপুনি শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আরও পড়ুন- চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা কমে ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

সরেজমিনে দেখা গেছে, খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষরা। তাদের হাতে এখনো পৌঁছায়নি শীতবস্ত্র। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা।

এদিকে কুয়াশা না থাকায় সকালে সূর্যের দেখা মিললেও কমছে না শীতের তীব্রতা। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় হলেও হ্রাস পাচ্ছে রাতের তাপমাত্রা। উত্তরের শীতল বাতাস বাড়িয়ে দিচ্ছে মানুষের ভোগান্তি। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা।

এ অঞ্চলে তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করায় জনজীবনেও শীতের চেনা ছবি ফিরে এসেছে। গত সন্ধ্যার পরে শহরের অলিগলিতে আগুন জ্বেলে শীত নিবারণ করছে মানুষ। রাত একটু গড়াতেই রাস্তা-ঘাট সুনসান হয়ে পড়ে। গত দুদিন ধরে খুলনায় এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। এ দিকে ঠান্ডার কারণে শহরে শীতের পোশাকের বিক্রি বেড়েছে। ঘন কুয়াশা থাকার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে চালকরা।

ট্রাক চালক জসিম উদ্দিন জানান, গত কয়েক দিন ধরে সকালে ও রাতে অনেক বেশি কুয়াশা পড়ে। তাই গাড়ি চালাতে হিমশিম খেতে হয়।

পাথর শ্রমিক জাফর আলী বলেন, শীতে খুব সকালে ওঠে মহানন্দা নদীর হিমশীতল পানিতে পাথর তুলতে ভীষণ কষ্ট হয়। কিন্তু গরীবের টানাপোড়নের সংসারে এ কাজ ছাড়া আর কিবা করতে পারি। অনেক সময় শ্বাসকষ্টে দু’চারদিন বিছানায় পড়ে থাকতে হয়। পরবর্তীতে আবার কাজের সন্ধানে নদীতে নেমে পড়ি।

পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, আজ সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন ধরে সকালে ও সন্ধ্যার পর ঘন কুয়াশা নামে। যা আরও কয়েকদিন থাকার সম্ভাবনা আছে।

জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, শীত মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দরিদ্র মানুষের কষ্ট লাঘবে গরম কাপড় সরবরাহে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

ওডি/এসজেএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড