বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে ডুবে যাওয়া কার্গো উদ্ধার নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ক্লিংকারবোঝাই এ কার্গোটির ওজন ১৮শ মেট্রিক টন। বিআইডব্লিউটিএর যে ৩টি উদ্ধারকারী জাহাজ রয়েছে সেগুলোর সর্বমোট উদ্ধার ক্ষমতা ৩৫০ মেট্রিকটন। এ অবস্থায় তিন উদ্ধারকারী জাহাজ একযোগে কাজ করেও কার্গো উদ্ধার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটটি হুমকির মুখে পড়বে। এ দিকে এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দেড়টায় দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কার্গোটির সামনের দিক পুরোপুরি পানির নিচে এবং পেছনের দিকের কিছু অংশ পানির ওপরে জেগে আছে। এর পাশেই দাঁড়িয়ে আছে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘নির্ভীক’। এ জাহাজটির সর্বোচ্চ ২৫০ মেট্রিক টন ওজনের জাহাজ টেনে তোলার সক্ষমতা আছে।
এর আগে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল নৌবন্দরের ডিসির ঘাট এলাকায় বরগুনা থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ শাহরুখ-২ এর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ক্লিংকারবোঝাই কার্গো এমভি হাজী মোহাম্মদ দুদু মিয়া (রা.)-১ ডুবে যায়। লঞ্চটির তলা ফেটে পানি ওঠা শুরু করলে দ্রুত তীরে ভেড়ানো হওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ সময় কার্গোর কর্মচারীরা সাঁতরিয়ে তীরে ওঠেন।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুবুল ইসলাম বলেন, বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীকের সর্বোচ্চ আড়াইশ টন উত্তোলন ক্ষমতা রয়েছে। ১২শ টন ক্লিংকার বোঝাই জাহাজটির ওজন আরও ৬শ টন। এটি ডুবে যাওয়ার পর এখন প্রায় ২ হাজার টন ওজন হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজের ডুবে যাওয়া কার্গো উদ্ধারের সক্ষমতা নেই। তাই কার্গোর মালিকপক্ষকে এক মাসের মধ্যে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কার্গোটি উদ্ধারের জন্য বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তারা উদ্ধারে ব্যর্থ হলে কার্গোটি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হবে। পরে ডুবুরি নামিয়ে কেটে কেটে জাহাজটি উদ্ধার করে নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা হবে বলে জানান কমোডোর এম. মাহাবুবুল ইসলাম।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে পরবর্তী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু বলেন, এমভি হাজী মোহাম্মদ দুদু মিয়া (রা.)-১ কার্গোটি লঞ্চ শাহরুখ-২ এর সঙ্গে সংঘর্ষে নৌপথের মূল চ্যানেলে ডুবেছে। এটি সরানো না গেলে চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যাবে।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড