সারাদেশ ডেস্ক
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বরগুনা থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ এমভি শাহরুখ-২ এর ধাক্কায় তলিয়ে যাওয়া এমভি হাজী মো. দুদু মিয়া-১ কার্গোটি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কার্গোটি স্বল্প সময়ে উদ্ধার করা সম্ভব নয়। নৌপথের মূল চ্যানেলে ডুবে যাওয়ার ফলে এটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টায় বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ ‘নির্ভীক’ এ কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার।
তিনি জানান, মূলত সিমেন্ট তৈরির কাঁচামালবাহী (ক্লিংকার) ডুবে যাওয়া কার্গোটি এ মুহূর্তে উদ্ধার করা সম্ভব নয়। তবে এটি যেহেতু নৌপথের মূল চ্যানেলে ডুবেছে, ফলে আপাতত এটিকে সরিয়ে তীরবর্তী নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চ্যানেলটি নৌ-চলাচলের জন্য সচল ও নিরাপদ থাকবে।
দুর্ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে আজমল হুদা বলেন, ‘কার্গোর মাস্টারকে পাওয়া গেলেও লঞ্চের মাস্টারের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি। তাদের দুই জনের কাছে থেকে তথ্য পেলেই দুর্ঘটনা কেন ঘটেছে তা জানা যাবে। ঘটনার তদন্তে প্রয়োজনে কমিটি গঠন করা হবে। দোষীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে।’
শনিবার রাতে এমভি শাহরুখ-২ নামে একটি লঞ্চ প্রায় সাড়ে ৩শ’ যাত্রী নিয়ে বরগুনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। বরিশাল নদীবন্দর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী দিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম থেকে রওনা দেওয়া এ্যাংকর সিমেন্টের ১২শ’ মেট্রিক টন ক্লিংকারবাহী এমভি হাজী মো. দুদু মিয়া-১ নামের একটি কার্গোর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লঞ্চের সামনের অংশের তলা ফেটে যায় ও কার্গোটি নদীতে ডুবে যায়।
আরও পড়ুন : কীর্তনখোলায় লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষে কার্গোডুবি
লঞ্চের যাত্রীসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার সময় নদীতে বাঁক থাকা সত্ত্বেও এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চটি দ্রুত গতিতে চলছিল। অন্যদিকে কার্গোটিও নিয়ম না মেনে নদীর বাম দিক ঘেঁষে যাচ্ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দে লঞ্চ ও কার্গোর সংঘর্ষে হয়। মুহূর্তের মধ্যে ডুবতে শুরু করে কার্গোটি। সংঘর্ষে লঞ্চটির সামনের তলার অংশ ফেটে যাওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
দুর্ঘটনার ব্যাপারে এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চের সুপারভাইজার সেলিম হোসেন মারুফ জানান, নদীর বাঁকে পৌঁছে তারা ডানদিকে টার্ন নেওয়ার সময় কার্গোর চালক লঞ্চের দিকে চলে এলে দুর্ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে কার্গো জিএম আনসার আলী হাওলাদার বলেন, ‘লঞ্চের ভুলের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
ওডি/জেআই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড