ঈশ্বরদী প্রতিনিধি, পাবনা
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাবনার পাকশী রেলওয়ে হাসপাতালে কর্মরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রফিক আহমেদকে তার তিন ছেলেসহ একই পরিবারের পাঁচজনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
১৯৭১ সালের ১২ এপ্রিল পাকশীতে রেলের বাসায় হামলা চালিয়ে এই নারকীয় গণহত্যা চালায় বিহারী ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
আজকের এই দিনে ডা. রফিক আহমেদ, তার তিন ছেলে জিয়া উদ্দিন দুলাল, সাইফ উদ্দিন মামুন ও রইচ উদ্দিন শামিমকে হত্যা করার পর তাদের বাসায় বেড়াতে আসা আত্মীয় আমিনুল হককেও নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদাররা। পরবর্তীকালে এই পাঁচ শহীদকে পাকশীতে পানির ট্যাঙ্কির নিকট রাস্তার পাশে সমাহিত করা হয় একটি গণকবরে।
সে সময় বাসার বাইরে থাকায় ডা. রফিক আহমেদের স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েটি প্রাণে বেঁচে যান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্বামী-সন্তানহারা স্ত্রী তার মেয়েটিকে নিয়ে পাকশী ত্যাগ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪৯ বছর পরও পাকশীতে এই গণকবরটি পাকশীবাসীকে মনে করিয়ে দেয় সেদিনের নির্মম হত্যাযজ্ঞের কথা। কিন্তু এই গণকবরটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার কারণে কবরের প্লাস্টার, গাঁথুনি এখন ধ্বংসের পথে।
শহীদ পরিবারের কেউ পাকশীতে বসবাস না করার কারণে এটি সংস্কারও করা হয় না দীর্ঘদিন।
পাকশীর প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গণহত্যার শিকার এই পাঁচ শহীদের গণকবরটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা উচিত।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড