ইমন চৌধুরী, পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুর জেলার অর্থনীতিতে দিন দিন বাড়ছে উদ্যমী নারীদের অবদান। জেলার বিভিন্ন স্থানে নানা ব্যবসায় জড়িত নারীরা। এতে যেমন তাদের আত্মকর্মসংস্থান হচ্ছে তেমনি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। এতে দেশে বাড়ছে নারী প্রধান পরিবারের সংখ্যা। পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমাজে সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার লক্ষ্যেই তাদের এই প্রচেষ্টা। বিউটি পার্লার, হাতের কাজের পণ্য, কসমেটিক্সসহ নানা পণ্যের সুপার শপ কিংবা যেকোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অবিচল নারীরা। পাচ্ছেন সাফল্যতাও।
নারীরা সংসারে কাজ করবে, আগের সেই ধারণা পাল্টে যাচ্ছে। সংসারবহিভূত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ আজ আর নজিরবিহীন নয়। এক সময় যেসব কাজ শুধু পুরুষদের জন্যই নির্ধারিত ছিল, সেসব কাজে এখন নারীরাও অংশগ্রহণ করছে। অসংখ্য নারী জেলার বিভিন্ন স্থানে নানা ব্যবসায় জড়িত। মূলত সংসারের পাশাপাশি কিছু বাড়তি আয়ের আশায় নারীদের কর্মক্ষেত্রে দেখা গেলেও, পিরোজপুরের চিত্র কিছুটা ভিন্ন।
শহরের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এককভাবে নারীরা পরিচালনা করছে যা একটা সময় প্রায় অসম্ভবই মনে করা হতো। পোশাকের বিপণি বিতান, টেইলার্স, বিউটি পার্লার, হাতের কাজের পণ্য, কসমেটিক্সসহ নানা পণ্যের সুপার শপসহ যেকোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন তারা। পাচ্ছেন সাফল্যতাও। তবে এ সফলতার মধ্যে সহযোগিতা থাকে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও। সমাজের পিছিয়ে পরা নারীরাও আত্মকর্মসংস্থান করে নিতে পারেন বলে দাবি সফল উদ্যমী নারীদের।
এ দিকে পাল পারার চায়ের দোকানী গিতা রানী জানান, তার স্বামী কয়েক মাস আগে মারা গেলে তিনি জীবিকা নির্বাহে ও ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা করে ভালো মানুষ গড়ার লক্ষ্যে এই চায়ের ব্যবসা শুরু করে। ব্যবসায় সীমিত লাভ নিয়েই চলতে হচ্ছে তাদের। সরকারি সহযোগিতা পেলে ব্যবসায় উন্নতি করতে পারবে বলে দাবি তার।
নারী মুক্তি নিয়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করা সংগঠন মহিলা পরিষদের পিরোজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক সালমা রহমান হ্যাপী এই নেত্রীর মতে, পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও সমান মূল্যায়ন করা হলে নারীদের সর্বক্ষেত্রে অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। আমরা মহিলা পরিষদের পক্ষে থেকে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য বিভিন্ন সহযোগিতা করে থাকি।
সমাজের স্বামীহীন, পিছিয়ে পরা নারীদের সরকার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থান তৈরি করে দেবে বলে জানান পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মো সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, এ ধনের নারীরা আমাদের কাছে যোগাযোগ করলে আমরা তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যম সৃষ্টি করে দেবো।
কেউবা শুধু সাবলম্বী হবার স্বপ্ন থেকে কেউবা বাধ্য হয়েই জীবিকা নির্বাহে বেছে নিয়েছেন বিভিন্ন ব্যবসা। তবে কারণ যাই হোক, দেশের উন্নয়নে নারীদের এমন পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সবাই।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড