সারাদেশ ডেস্ক
কারখানার গ্যাসের পাইপের লিকেজ থেকেই ভয়াবহ এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক নজমুজ্জামান। তিনি জানান, ‘ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তেই পুরো কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফলে শ্রমিকেরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনে দগ্ধ হন। এছাড়া কারখানাটিতে আগুন নেভানোর জন্য নিরাপত্তামূলক কোনো ব্যবস্থাও ছিল না। তবে অগ্নিকাণ্ডে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
এর আগে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের চুনকোটিয়া হিজলতলা এলাকার ‘প্রাইম অনটাইম প্লাস্টিক’ নামে ওই কারখানাটিতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এই আগুনে দগ্ধ হয় ৩৪ জন। তাদের সকলেই ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পাশাপাশি সকলের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
এ দিকে, র্যাব-১০-এর টুআইসি মেজর শাহরিয়ার জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কারখানার ভেতর থেকে এক শ্রমিকের পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) রামানন্দ সরকার বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নাশকতা কি না, তদন্ত ছাড়া এটা বলা সম্ভব হচ্ছে না।’
ক্ষতিগ্রস্ত ‘প্রাইম অনটাইম প্লাস্টিক’ কারখানার সিকিউরিটি কর্মকর্তা বাহার আলী বলেন, ওই কারখানায় ওয়ানটাইম প্লাস্টিকের খাবারের বক্স, থালা, গ্লাসসহ অন্যান্য দ্রব্য সামগ্রী তৈরি করা হতো। এদিন বিকালে হঠাৎ কারখানাটির বক্স তৈরির ইউনিটে আগুন লাগে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভয়াবহ এই আগুনে কারখানার ম্যানেজার নজরুল ইসলামসহ ৩৪ জন দগ্ধ হন। ওই কারখানার বিভিন্ন ইউনিটে প্রায় শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এদিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ ওই কারখানায় আগুন লাগে। এতে প্রথমে আশপাশের মানুষ ও কারখানার শ্রমিকেরা আগুন নেভাতে চেষ্টা করেন। পরে আগুন নেভাতে ব্যর্থ হলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়।
এ দিকে, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ওই প্লাস্টিক কারখানাটির অনুমোদন ছিল না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জের চুনকোটিয়া এলাকায় এমন আরও অনেক অননুমোদিত কারখানা রয়েছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা অনেকবার নির্দিষ্ট জোনে শিল্পকারখানা করার ব্যাপারে বলেছি। এমনকি স্থানীয় সরকার ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে আমি অনেকবার এই বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু, তাতেও কারখানাগুলো সরানো যায়নি।’
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড