কক্সবাজার প্রতিনিধি
বাংলাদেশের আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও তার আশপাশের এলাকায় গেল দুই বছরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন অন্তত ৪০ জন। হামলা ও হত্যাকাণ্ডের এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে প্রায় চার শতাধিক। এমন পরিস্থিতিতে অপরাধ দমনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে বেড়া নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রয় শিবিরের দুই কিলোমিটার এলাকায় বসানো হয়েছে পিলার। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এতে যুক্ত হবে কাঁটাতার।
এ দিকে নিরাপত্তায় নেওয়া সরকারের এমন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গারা। তারা মনে করছেন- বেষ্টনী হলে আশ্রয় শিবিরগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরবে। কমে আসবে অপরাধ প্রবণতা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বালুখালী, পালংখালী এলাকার ১১, ১২, ১৩ এবং ১৯ নম্বর ক্যাম্পে পাকা পিলার স্থাপনের কাজ চলছে। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার বেড়া দৃশ্যমান হয়েছে।
পিলার স্থাপন কাজে তদারকিতে থাকা সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, আশ্রয় কেন্দ্রের এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অংশ হিসেবে পিলার বসানো হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে এ কাজ শেষ করে পিলারে কাঁটাতার যুক্ত করা হবে।
জেলা পুলিশ সুপার এবি এম মাসুদ হোসেন জানান, উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলোতে গত দুই বছরে খুন হয়েছে ৪০ জন। বিভিন্ন অপরাধে চার শতাধিক মামলার আসামি হাজারের অধিক রোহিঙ্গা। তাই রোহিঙ্গা ক্যাম্প কাঁটাতারের বেড়ার আওতায় আসলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়ক হবে। এছাড়াও বাইরের কোনো সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ক্যাম্পে প্রবেশ করতে পারবে না।
উল্লেখ, ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গা। সবমিলিয়ে দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখের অধিক। সরকারি হিসেবে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে প্রায় ১০ হাজার একর বনভূমিতে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গারা। আশ্রয়ের কিছু দিন পর থেকে অনেক বিপথগামী রোহিঙ্গা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। মাদকব্যবসা, খুন, অপহরণের জড়ায় তারা। এসব অপরাধ রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড