• শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নড়াইল মুক্ত দিবস আজ

  নড়াইল প্রতিনিধি

১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:২২
নড়াইল
নড়াইল স্মৃতিস্তম্ভ (ছবি : দৈনিক অধিকার)

নড়াইল মুক্ত দিবস আজ ১০ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে নড়াইলকে শত্রু মুক্ত করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা। নড়াইল মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা প্রশাসন আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মু্ক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, বধ্যভূমি, গণকবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি, দোয়া অনুষ্ঠান, র‌্যালি ও আলোচনা সভা। মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিকামী হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে নড়াইলে মুক্তিযোদ্ধাদের শক্ত ঘাঁটি গড়ে ওঠে। বিভিন্ন অঞ্চলে পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের চলে তুমুল যুদ্ধ। শুধুমাত্র নড়াইল চিত্রা নদীর পাড়ে (প্রধান ডাকঘরের পাশে) ৩ সহস্রাধিক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী ও রাজাকাররা। এ ছাড়া নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর গ্রামের তরফদার পরিবারের স্কুল শিক্ষক আতিয়ার রহমান তরফদার, আব্দুস সালাম তরফদার, রফিউদ্দিন তরফদার, মাহতাব তরফদার ও আলতাব তরফদার এবং মোকাম মোল্যা, কাইজার মোল্যা ও মকবুল হোসেন সিকদারকে ধরে এনে নড়াইল শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেতরে গণকবর দেয় পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা।

ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকেই নবগঙ্গা নদীর উত্তর ও পূর্বাঞ্চালের হানাদার মুক্ত হয়ে যায়। লোহাগড়া থানার পাক হানাদার বাহিনীর ঘাঁটিকে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মুক্তি বাহিনীর কমান্ডারগণ আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলে তারা আত্মসমর্পণ না করায় ৮ ডিসেম্বর সম্মিলিতভাবে লোহাগড়া থানা আক্রমণ করলে যুদ্ধের পর হানাদার বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করে। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা নড়াইলে হানাদার বাহিনীর ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হতে থাকেন।

৯ ডিসেম্বর কমান্ডার ফজলুর রহমান জিন্নাহ, আমির হোসেন, উজির আলী, শরীফ হুমায়ুন কবীর, আব্দুল হাই বিশ্বাসের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের দক্ষিণ দিক থেকে আক্রমণ চালালে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের পাল্টা আক্রমণে বাগডাঙ্গা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান শহীদ হন। ওই দিনই শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাংলোতে অবস্থানরত ৪০ জন পাক মিলিটারিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলে তারা আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি জানান।

এ সময় মুক্তি বাহিনীর সদস্যরা চতুর্দিক থেকে প্রচণ্ড গোলাগুলি শুরু করলে পাক মিলিটারিরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এখানে একজন পাক মিলিটারি নিহত হয় ও অন্যদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। মুক্তিযোদ্ধারা সারারাত শহরে বিজয় উল্লাস করতে থাকেন ও জয় বাংলা শ্লোগানে শ্লোগানে শহর মুখরিত করে তোলেন। অবশেষে ১০ ডিসেম্বর দুপুর একটা ১৫ মিনিটে নড়াইলকে পাক হানাদার মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

ওডি/এসজেএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড