সোনারগাঁ প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
প্রায় চার মাস ধরে ছেলে মাহাবুব মিয়াকে হত্যার শোক বয়ে বেড়ানোর পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার টেমদী গ্রামে এবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তার মা সুফিয়া বেগম।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে পরলোক গমন করেন তিনি। ছেলের মৃত্যুর শোক আর হত্যাকারীদের একের পর এক হামলার যন্ত্রণায় তার এমনভাবে চলে যাওয়ায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের টেমদী গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মাহবুব মিয়াকে গত বছরে ৩১ ডিসেম্বর পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত কার হয়। এ ঘটনায় দীর্ঘ আট মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২৩ আগস্ট তিনি মারা যান। এ দিকে, ওই ঘটনার পর দায়েরকৃত মামলার আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে ইসহাক মিয়ার নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জনের একদল সন্ত্রাসীসহ নিহত মাহাবুব হোসেনের চাচা প্রবাসী হালিম মিয়ার ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে তিনটি ঘরে অগ্নি সংযোগ করে। পরবর্তীকালে ছেলের মৃত্যু আর হত্যাকারীদের যন্ত্রণায় অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সুফিয়া বেগম।
এ দিকে, হত্যা মামলার বাদী ও নিহতের ভাই তাহসীন মিয়া জানান, ‘সন্ত্রাসী ও একাধিক হত্যা মামলার আসামি ইছহাক মিয়া এবং তার বাহিনীর সদস্যরা আমার ভাই মাহবুব মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেই ক্ষান্ত হননি, তারা আমাদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরসহ লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে। এভাবে একের পর এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা আমাদের সবকিছু ধ্বংস করে দেয়। আমার মা সুফিয়া বেগম মাহবুবের হত্যার ঘটনায় একেবারে ভেঙে পড়েন। ছেলেকে হারিয়ে তিনি পাগলপ্রায় হয়ে যান। সন্ত্রাসীদের একের পর এক কর্মকাণ্ডে আর ছেলের মৃত্যুর শোকে শনিবার সন্ধ্যায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইছহাক মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির দৈনিক অধিকারকে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও উল্লেখ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড