কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভিন্ন বনাঞ্চলে কাঠ চুরি ও পাচারের ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও বনকর্মীদের দফায় দফায় অভিযানে এ প্রবণতা কিছুটা কমেছে। তবে সুযোগ পেলেই তৎপর হয়ে উঠছেন চোরাকারবারিরা।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া ফাসিয়াখালী রাস্তার মাথা নামক স্থানে বিশেষ টহলদল অভিযান চালায়। এ সময় অবৈধ জ্বালানি কাঠ ভর্তি একটি টিএস গাড়ি জব্দ করা হয়।
এর আগে আটক করা হয় বিপুল পরিমাণ চোরাই কাঠ ভর্তি একটি মিনি ট্রাক। বন বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকায় চোরাই কাঠ পাচার অনেকটা হ্রাস পাচ্ছে বলে দাবি বন বিভাগের।
জানা গেছে, উত্তর বন বিভাগের বনাঞ্চল থেকে বৃক্ষ নিধন করে ৭ ডিসেম্বর ভোর ৫টার দিকে বিপুল পরিমাণ চোরাই কাঠ ট্রাকযোগে পাচার করছিল সংঘবদ্ধ একটি চক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলামের নির্দেশে ফাসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের সহযোগিতায় কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিশেষ টহল দলের ওসি এমদাদুল হকের নেতৃত্বে স্পেশাল টিম অভিযান চালায়। এ সময় পাচারকালে চকরিয়া ফাসিয়াখালী রাস্তার মাথা নামক স্থান থেকে অবৈধ জ্বালানি কাঠ ভর্তি একটি টিএস গাড়ি জব্দ করা হয়। এ গাড়িতে থাকা আটক জ্বালানি কাঠের পরিমাণ আনুমানিক ৩শ ঘনফুট। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর বিকালে সংঘবদ্ধ কাঠ চোরাকারবারি দল কর্তৃক পাচারকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া মৌলভীর কুম নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় চোরাই কাঠ ভর্তি একটি মিনি ট্রাক। যার আনুমানিক মূল্য কয়েক লাখ টাকা। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলাও হয়েছে বলে জানান অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিশেষ টহল দলের ওসি এমদাদুল হক।
তিনি জানান, সংঘবদ্ধ একটি কাঠ চোরাকারবারি সিন্ডিকেট বন বিভাগের লোকজনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বন নিধন ও চোরাই পথে কাঠ পাচার অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু যখনই খবর পাওয়া যাচ্ছে তখনই চালানো হচ্ছে অভিযান। এতে করে দিনদিন চোরাই পথে কাঠ পাচার হ্রাস পাচ্ছে। এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সিওআর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, বনজদ্রব্য ধ্বংসকারী ও চোরাচালান চক্রের বিরুদ্ধে বন বিভাগের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গাছ চোরাচালানে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। চোরাই পথে গাছ পাচারের চেষ্টা করা হলে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তা জব্দ করা হচ্ছে। বন নিধনকারীদের বিরুদ্ধে চলমান এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড