ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ঢাকার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার (২১) মরদেহ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ফজরের নামাজের পর ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বিজয়নগর গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছালে এলাকার আকাশ বাতাশ যেন ভারী ওঠে। মরদেহ দেখে শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসী। পরে সকাল ১০টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
রুম্পার পুলিশ কর্মকর্তা বাবা রুকন উদ্দিন কোনোভাবেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। বার বার ছুটে যাচ্ছেন মেয়ের কবরের পাশে। তার কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। মেয়ে হারানোর বেদনা কোনোভাবেই সইতে পারছেন না তিনি।
একমাত্র মেয়ে রুম্পাকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তার মা নাহিদা আক্তারও। কখনো চিৎকার করে কাঁদছেন, আবার কখনো পাথরের মতো নিথর হয়ে বসে থাকছেন। মানুষ দেখলেই এক পলকে চেয়ে থাকেন। কিছু বলতে চেয়েও পারছেন না।
উল্লেখ্য, রুম্পার বাবা মো. রুকন উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। মা নাহিদা আক্তার পারুল গৃহিণী। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে রুম্পা সবার বড়। রুম্পা স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। আর তার ছোট ভাই আশরাফুল আলম রাজধানী ঢাকার ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত।
রাজধানী ঢাকার শান্তিবাগে একটি ফ্ল্যাটে মায়ের সঙ্গে থেকে পড়াশোনা করতেন রুম্পা ও তার ছোট ভাই। পড়াশোনার পাশাপাশি রুম্পা টিউশনি করতেন। গত বুধবার টিউশন শেষে বাসায় ফেরেন রুম্পা। এরপর বাইরে কাজ আছে বলে আবার বাসা থেকে বের হন। কিন্তু এরপর রাতে আর বাসায় ফেরেননি। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি।
এ দিকে গত বুধবার রাতে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনে দুই বাড়ির মাঝ থেকে উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাত যুবতীর (২১)মরদেহ। তখন লাশের পরিচয় জানা যায়নি। পরে বৃহস্পতিবার রুম্পার মাসহ স্বজনরা রমনা থানায় গিয়ে লাশের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড