মামলার সাক্ষী দেওয়ায় ৬ জনকে কুপিয়ে জখম

মাদক মামলার সাক্ষী হওয়ায় তিন বছরের একটি শিশুসহ একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহতদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৭টায় ফরিদপুর সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের ভাজনডাঙ্গা আদর্শ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের সকলেই পলাতক রয়েছে।

আহতরা হলেন—ভাজনডাঙ্গা গ্রামের দিনমজুর তারা ফকিররে স্ত্রী রহিমা বেগম (৬০), ছেলে মোহসিন ফকির (৩৫), তিন বছরের নাতি শিপন ফকির ও চা দোকানদার লাবলু চৌধুরী (৫০)।

আহতদের মধ্যে মোহসিন ফকিরের মাথা ও মুখে কোপের ক্ষত গুরুতর হওয়ায় তার অবস্থার ব্যাপক অবনতি হয়েছে। তাকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহত অন্যান্যদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে লাবলু চৌধুরীর অবস্থাও গুরুতর। এ ঘটনায় শিউলি বেগম (২৬) ও পুর্নিমা (২০) নামে আরও দুইজনকেও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।

আহত লাবলু চৌধুরীর ছেলে আল আমীন ওরফে স্বপন চৌধুরী (২৮) বলেন, তার বাবা ভাজনডাঙ্গা স্কুলের পাশে চায়ের দোকানি। একই এলাকার ইসমাঈল মল্লিকের ছেলে মিজান মল্লিক, আবুল মল্লিক ও মেয়ে জিয়াসমিনসহ নয়ন (১৮) ও সিরাজ (২৪) নামে আরও দুইজন ধারালো অস্ত্র, চাপাতি ও পাইপ নিয়ে হামলা চালায়। আহত রহিমা বেগম জানান, নাতি পূর্ণিমা ও ছেলের বউ শিউলিসহ তিনি আহতদের রক্ষা করতে এলে তাদের ওপরেও হামলা করা হয়।

আহত মোহসিনের ভাই মতি ফকির জানান, মাত্র দেড় মাস আগে একটি মাদক মামলায় আটক হয়ে রবিবার (১ ডিসেম্বর) কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন ইসমাঈল মল্লিকের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৫০)। এর আগে ২০১৮ সালের ৮ জুন মর্জিনাকে এক কেজি গাঁজাসহ আটক করে র‌্যাব। ওই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় র‌্যাবের ডিএডি সোহরাবউদ্দিনের দায়ের করা মামলার এজাহারে আহতদের সাক্ষী করা হয়। এজন্য তারা আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল।

কোতোয়ালি থানার এসআই শামীম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি জানান, মাদক মামলার আসামি মর্জিনা ও হামলায় আহত রহিমা আপন দুই বোন। মর্জিনার মাদক মামলায় সাক্ষী হওয়া এ হামলার একটি কারণ। তবে তাদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধও রয়েছে।

ওডি/এএসএল