কুমিল্লা প্রতিনিধি
থানায় ডেকে নিয়ে দেড় কোটি টাকার চেক নেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর মনোহরপুর এলাকার মৃত আবদুল হামিদের ছেলে মো. মহিউদ্দিন বাদী হয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় নগরীর মনোহরপুর এলাকার মৃত রতন মিয়ার ছেলে মো. মাহাবুব আলমকে ২ নম্বর আসামি করা হয়। পরে আদালতের বিচারক জালাল উদ্দিন অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। রবিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. সালাউদ্দিন মাহমুদ।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়িক কাজের প্রয়োজনে মহিউদ্দিনের জমি বন্ধক রেখে তার চাচাতো ভাই মামলার ২ নম্বর আসামি মাহাবুব আলম ইউসিবিএল ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে। ওই ঋণ সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় মাহাবুবের বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অর্থ ঋণ আদালতে মামলা দায়ের করে। এ নিয়ে মাহাবুব ও মহিউদ্দিনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
অভিযোগে বলা হয়, পরবর্তীতে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিন এবং আসামি মাহাবুব আলম যোগসাজশে টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে গত ৩ আগস্ট রাতে পুলিশ পাঠিয়ে মহিউদ্দিনকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ পরিদর্শক সালাহউদ্দিন তার রুমে মহিউদ্দিনকে আটকে রাখে এবং মহিউদ্দিনের ভাইয়ের মাধ্যমে বাড়ি থেকে চেক বই নিয়ে এসে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার চেক লিখিয়ে নেন।
মামলার বাদী মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘থানায় তুলে নিয়ে দেড়কোটি টাকার চেক মাহাবুবের (২ নম্বর আসামি) জন্য আদায় করতে পুলিশ পরিদর্শক সালাহউদ্দিন আমাকে হুমকি দিয়েছিল, তাই আমি বাধ্য হয়ে চেক লিখে দিয়েছিলাম। এখন আদালতে মামলা দায়ের করেছি।’
অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মো. সালাহউদ্দিন জানান, ‘ব্যাংক ঋণ, টাকা লেনদেন ও চেক দেওয়া-নেওয়ার বিষয়টি মহিউদ্দিন ও তার চাচাতো ভাই মাহাবুবের মধ্যে হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয়পক্ষকে থানায় ডেকে এনে সমঝোতা করা হয়েছিল। পরে তাদের মধ্যে কী হয়েছে জানি না। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। এছাড়া আমি এখনো আদালত থেকে মামলার কোনো কাগজপত্র পাইনি।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. সালাউদ্দিন মাহমুদ জানান, আদালতের বিচারক জালাল উদ্দিন অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড