ভৈরব প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ
সোনালি স্বপ্ন নিয়ে লিবিয়া হয়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইতালি যেতে চেয়েছিলেন ১৫২ জন বাংলাদেশি যুবক। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙে দেয় লিবিয়ার কোস্টগার্ড। আটক করে সরাসরি দেশে ফেরত পাঠানো হয় সবাইকে।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ১৫২ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় লিবিয়া সরকার। এদের মধ্যে ১৯ জন ভৈরবের। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও লিবিয়া-বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় একটি চাটার্ড বিমানে তাদের দেশে পাঠানো হয়।
দেশে ফেরত আসা যুবকরা হলেন- ভৈরবের শিবপুর ইউনিয়নের সম্ভুপুর গ্রামের রনি মিয়া ও মঈন উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর গ্রামের অন্তর, ইমরান, আমিনুল ইসলাম, তুহিন মিয়া, মাহাম্মদ আলী, জোনায়েত, জগনাথপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান, মারুফ মিয়া, শান্ত মিয়া, মেহেদী হাসান, ছনছাড়া গ্রামের সুজন মিয়া, রঘুনাথপুর গ্রামের উজ্জ্বল মিয়া, রাজাকাটা গ্রামের রিমন মিয়া, জীবন মিয়া, ভাটি কৃষ্ণনগর গ্রামের সাগর মিয়া, পৌর এলাকার ভৈরবপুর গ্রামের সাব্বির মিয়া ও ওলি উল্লাহ।
ফেরত আসা যুবকরা জানান, দেশে কোনো কাজ না পেয়ে স্বপ্নের দেশ ইতালিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তারা দালালদের মাধ্যমে লিবিয়ায় যায়। দালালরা বলেছিল, লিবিয়া থেকে তাদের সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পাঠাবে। গত ৩০ অক্টোবর তাদের দালালরা রাবারের বোর্ডে তুলে সাগর দিয়ে রওনা হয় ইতালির পথে। এদিনই লিবিয়ার কোস্টগার্ডের হাতে ধরা পড়েন তারা। পরে তাদের লিবিয়া পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ তাদের জেলে পাঠায়। ফেরত আসা যুবকরা প্রত্যেকেই ৫-৭ লাখ টাকা দালালদের দিয়েছেন বলে জানান।
তারা জানান, জেলে তাদের অমানুষিক নির্যাতন করেছে কারারক্ষীরা। তারপর বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে আইওএ এর সহযোগিতায় ২৬ দিন জেল খাটার পরে যুবকরা দেশে ফেরত আসে। ফেরত আসা যুবকদের অভিভাবকরা জানান, আমাদের ছেলেদের ফেরত পেয়েছি এতে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।
ওডি/জেআই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড