• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

গরু খামারিকে নিঃস্ব করল ইউপি চেয়ারম্যান 

  মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

২৮ নভেম্বর ২০১৯, ২১:১২
জাকির হোসেন
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ( ফাইল ফটো )

বাকিতে ১৪টি গরু ক্রয় করে সেই টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীরও ধরনা ধরছেন ভুক্তভোগী খামারি। তবুও মিলছে না কোনো সুরাহা। টাকা চাওয়ায় ওই চেয়ারম্যান ভুক্তভোগী খামারিকে উল্টো হুমকি দেওয়াসহ নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগী খামারি সোহাগ জানান, চলতি বছরের ৫ আগস্ট ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বিকাল ৩টার দিকে তার খামারে গরু কিনতে আসেন। মোট ১৪টি গরু ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায় তার কাছে বিক্রি করেন। মাত্র ৫০ হাজার টাকা নগদ পরিশোধ করে ১৭ লাখ টাকা বাকি রাখেন। ঈদের পরদিন বকেয়া ১৭ লাখ টাকা পরিশোধ করবেন শর্তে গরুগুলো নিয়ে যান। এ সময় তার খামারে কলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুস সালামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ঈদের পরদিন টাকা না দেওয়ায় তার কাছে টাকা চাইলে আজ না কাল টাকা দেব বলে ঘুরাতে থাকে। কয়েকবার টাকা দেওয়ার দিন নির্ধারণ করলেও টাকা পরিশোধ করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, ‘পরবর্তীতে টাকা চাইলে চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। পরে বাধ্য হয়ে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান দূর্জয়ের কাছে অভিযোগ দিই। বিষয়টি সংসদ সদস্য জানার পর ঢাকায় ওই চেয়ারম্যানকে এবং আমাকে ডেকে বকেয়া থাকা ১৭ লাখ টাকা ২ কিস্তিতে পরিশোধ করতে নির্দেশ দেয় চেয়ারম্যানকে। চেয়ারম্যান তখন এমপির রায় মানলেও পরবর্তীতে তিনি একটি টাকাও পরিশোধ করেননি।’

ভুক্তভোগী খামারি আরও জানান, অনেক টাকা ঋণ করে গরু মোটাতাজাকরণের লক্ষ্যে আটিয়া উলাইল গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে এই খামারটি করেছি। ঋণের টাকায় প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের সুদ দিতে হচ্ছে। আবার খামারের শ্রমিকদেরও বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিতে হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে এখন ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছি। তাই এ ব্যাপারে পাওনা টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে কলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম জানান, কলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন গরু কেনা-বেচার ব্যবসা করেন। এই সুবাধে গরু বাকিতে নেওয়ার সময় সোহাগের খামারে উপস্থিত ছিলেন তিনি। তাই এই ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী বলেও স্বীকার করেন তিনি।

তবে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন জানান, ওই খামারিকে ব্যাংকের চেক দেওয়া হয়েছে এবং তাকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিতে বলেছি। কিন্তু অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কথা জানালে দ্রুত অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করবেন বলে ওই চেয়ারম্যান জানান। ওডি/এসএএফ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড