মো. সাদিকুর রহমান, মানিকগঞ্জ
গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল করিমের মা করিমুন্নেসা বেগম।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে রায় ঘোষণার পরই করিমুন্নেসা বেগম সন্তোষ প্রকাশ করেন সাংবাদিকদের কাছে।
তিনি জানান, দেশের জন্য যে ছেলে প্রাণ হারিয়েছে তাকে আর ফিরে পাওয়া সম্ভব না। তবে এই দিনটির জন্যই অপেক্ষায় ছিলাম। এই রায় দ্রুত কার্যকর করার পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ আইনশৃঙ্খলা ও বিচার বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
নিহত এসি রবিউলের মা আরও জানান, ২০১২ সালে রবিউল তার নিজ উদ্যোগে গ্রামের ঝরে পড়া প্রতিবন্ধী শিশুদের পড়াশুনার জন্য ব্লুমস নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর রবিউলের কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব মিলে কোনো রকমে স্কুলটি চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকার যদি এই স্কুলটির দিকে বিশেষ নজর দিত তাহলে এই স্কুলের মাঝেই রবিউলের স্বপ্নটা বেঁচে থাকতো। ছেলেকে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে কিন্তু তার কোনো দলিল প্রমাণ নেই। সরকার যদি একটা সনদের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে ভালো হতো। ভবিষ্যতে রবিউলের সন্তানরা কোথাও গিয়ে দাঁড়াতে পারত। তিনি রবিউলের ভাইয়ের জন্য একটি চাকরির দাবি জানান সরকারের কাছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছিলেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রাম এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের বড় ছেলে রবিউল করিম। রবিউলের মৃত্যুর পর পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন পরিবারটি। গত দুই বছর আগে রবিউলের স্ত্রী উম্মে সালমার চাকরি হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি সেখানে প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন। চাকরির সুবিধার্থে তিনি ঢাকার ধামরাই উপজেলার কালামপুরে বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন। নিহত রবিউলের দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে সাজিদুল করিম (৮) পড়ছে ধামরাইয়ের একটি স্থানীয় স্কুলে। ছোট মেয়ে রাইমার বয়স সাড়ে তিন বছর। রবিউল করিমের মৃত্যুর একমাস পরেই পৃথিবীর মুখ দেখে রাইমা।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড