ধামরাই প্রতিনিধি
সাভারের আশুলিয়ায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আসলাম নামে এক জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে আশুলিয়ার উনাইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হামলাকারী দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলো- আশুলিয়ার উনাইল এলাকার আক্কেল আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস ও তার নাতি সোহেল।
গুরুতর জখম আব্বাস উদ্দিন জানান, তাদের নিজেদের মালিকানাধীন জমির ওই ডোবায় এতদিন জোরপূর্বক মাছ ধরে নিয়ে যেত স্থানীয় হানিফ, আব্দুল কুদ্দুস, নূর উদ্দিন, আলাউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ও তার শরিক নিজাম উদ্দিন, চাঁন মিয়া, আসলাম ও আব্দুল হাকিমসহ ১০-১২ জন মাছ ধরতে যান। এ সময় হানিফের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন দেশীয় ধারালো অস্ত্র, শাবল, লোহার পাইপ ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের কোপাতে থাকে হানিফ ও তার লোকজন। এক পর্যায়ে নূর উদ্দিন তার দুই হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলে। অন্যরা রড দিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এ সময় আসলামকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তারা নিরস্ত্র হওয়ায় মাছ ধরতে আসা প্রায় ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল কুদ্দুস জানান, সকালে আব্বাস উদ্দিন ও তার শকিকেরা নিজেদের মালিকানাধীন ডোবাতেই মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সাবেক ইউপি মেম্বার হানিফ ও তার লোকজন তাদের মারাত্মকভাবে কুপিয়ে জখম করেছে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বলেন, আশুলিয়ার উনাইল গ্রামে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস ও তার ছেলে সোহেল নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার তদন্তপূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড