কক্সবাজার প্রতিনিধি
শীতের শুরুতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ভিড় লেগেছে। সৈকতের ছয়টি পয়েন্টে পর্যটকে ভরে গেছে। কক্সবাজারের প্রায় ৪৫০টি হোটেল মোটেল ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ পূর্ণ হয়ে গেছে।
একাধিক হোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর ও নতুন বছরকে বরণ করতে কক্সবাজারে লক্ষ লক্ষ পর্যটকের সমাগম ঘটতে পারে। পর্যটকদের নানারকম অফার দিয়ে পর্যটক আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা। এদিকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরাও বসে নেই। নানা রকম মুখরোচক খাবারের পসরা সাজিয়েছেন তারা। কক্সবাজারের প্রধান প্রধান বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে শিশুসহ নানা বয়সী মানুষের উপচে পড়া ভিড় এখন প্রতিদিনই বাড়ছে।
বিভিন্ন পণ্যে ছাড়সহ নানারকম অফার দিয়ে বিক্রি বাড়ার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে পর্যটকরাও মহা খুশি, তারা কম মূল্যে পছন্দের জিনিসটি কিনে প্রিয়জনকে উপহার দিতে পারছেন। বিশাল পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও টুরিস্ট পুলিশ তৎপরতা রয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে হালকা শীত পড়ার পরপরই পর্যটন নগরী কক্সবাজারে বাড়ছে প্রতিদিনই দেশি-বিদেশি পর্যটকের আনাগোনা। শীত মৌসুমে সাগরের নীল জলরাশিতে উচ্ছ্বাস আর আনন্দে মেতেছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। আর তাদের উল্লাসে এখন মুখরিত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের প্রতিটি পয়েন্ট।
গত কয়েকদিনের হিসেব মতে, কক্সবাজারে পর্যটকের আগমন ঘটেছে প্রতিদিন ৩০ হাজারের বেশি। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা আশা করছেন ব্যবসায় চাঙ্গাভাব।
শীতের শুরুতে যেভাবে কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি পর্যটক আসা শুরু করেছে তাতে এবারের পর্যটন মৌসুমটা ভালোই কাটবে বলে মনে করছেন হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ডায়মন্ড প্যালেস গেস্ট হাউস মালিক আবুল কাশেম সিকদার।
হোটেল মালিকদের দেয়া তথ্য মতে, প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজারে ৫০ লাখেরও অধিক দেশি-বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটে।
ওডি/এসেজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড