ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে দুটি কেন্দ্রে শিশুদের ঝরে পড়া রোধ প্রকল্পের অধীনে পরিচালিত আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থী হয়ে পিইসি পরীক্ষা দিতে আসা ৪০ ভুয়া শিক্ষার্থী শনাক্ত হয়েছে। পরে তাদের কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা নাসরিন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ইসলামি শিক্ষা পরীক্ষার দিন বি এস ডাঙ্গী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চর হাজিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
নির্বাহী ম্যাজিট্রেট জানান, তিনি নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে ওই দুটি বিদ্যালয়ে এ অভিযান চালিয়ে ভুয়া শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করে তাদের বহিষ্কার করেন।
বিএস ডাঙ্গী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সরোয়ার মেম্বারের বাড়ি আনন্দ স্কুলের পিইসি পরীক্ষার্থী নূরুন নাহার প্রক্সি দেওয়ার কথা স্বীকার করে। এরপর ওই কেন্দ্রে একে একে ১৮ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত হয়।
অন্যদিকে চর হাজিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে আনন্দ স্কুলের হয়ে পরীক্ষা দেওয়া ২২ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এ ব্যাপারে আনন্দ স্কুলের ট্রেনিং কোঅর্ডিনেটর (টিসি) বর্নালী বিশ্বাস বলেন, আমি কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার আগেই ওই শিশুদের ফরম পূরণ করা হয়েছে। তাই ওরা যে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় সে বিষয়ে আমার কিছুই জানা ছিল না।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা নাসরিন বলেন, আমি অবাক হয়েছি এটা দেখে যে এমন অষ্টম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রক্সি দিতে এসেছে। প্রক্সি দিতে আসা ভুয়া পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি যারা এ কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ উপজেলায় এ বছর পাঁচটি কেন্দ্রে আনন্দ স্কুলের মোট ৪৪৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে দুটি কেন্দ্রে ৪০ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত হয়েছে। তবে অন্যান্য কেন্দ্রেও এরূপ পরীক্ষার্থী রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড