রাউজান প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
অবশেষে পরিচয় মিলেছে ৩ দিন ধরে নিখোঁজ শিশু সুজনের। সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে চট্টগ্রামের রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেপায়েত উল্লাহ শিশুটিকে তার মা চম্পা খাতুনের কাছে হস্তান্তর করেন।
জানা যায়, শিশু সুজন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের কেরামত আলীর মেয়ে চম্পা খাতুন ও একই এলাকার সিদ্দীক আলী দম্পতির সন্তান। সুজনের জন্মের পর প্রায় সাড়ে ৫ বছর আগে চম্পা খাতুনের স্বামী সিদ্দিক আলী মারা যান। দুই মেয়ে এক ছেলেকে নিয়ে চম্পা খাতুন দুঃখ-কষ্টে জীবনযাপন করলেও গত ৭ মাস আগে সিলেট জেলার জজ মিয়াকে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর থেকে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন চর রাঙ্গামাটিয়া এলাকার করিম ম্যানশনে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। এরপর বেশ কয়েক মাস ধরে তাদের দাম্পত্য জীবনে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল।
চম্পা খাতুন বলেন, তিনি স্বামী জজ মিয়াকে তালাক দেবেন। এরপর শিশু সুজনকে নিয়ে তার বাপের বাড়িতে চলে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, ছেলে নিখোঁজের ৩-৪ দিন আগে ছেলেকে বিক্রি করে দেবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন দ্বিতীয় স্বামী জজ মিয়া। গত শুক্রবার বিকাল ৩টায় শিশুটি চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বরিশাল বাজার এলাকা থেকে সুজন নিখোঁজ হয়। এরপর তার সৎ বাবার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। ছেলের সন্ধানে এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরবর্তীতে ছেলের সন্ধানে চম্পা খাতুন তার দ্বিতীয় স্বামী জজ মিয়ার বাড়ি সিলেটে চলে যান। পরে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে জানতে পেরে চম্পা খাতুন রাউজান থানায় এসে শিশুটিকে নিয়ে যান।
ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে অশ্রুসিক্ত হন চম্পা খাতুন। ৪ দিন শিশুটিকে রাউজান থানার নারী পুলিশ সদস্যরা তাদের সঙ্গে রেখেছিলেন। কিনে দিয়েছিলেন নতুন জামাও। যাওয়ার সময় ওসি কেপায়েত উল্লাহ দিয়েছেন যাতায়াত ভাড়াও।
এই বিষয়ে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেপায়েত উল্লাহ বলেন, গত শুক্রবার শিশুটিকে নোয়াপাড়া পথের হাট নামক বাজারের জান্নাত হোটেলে পেয়ে স্থানীয়রা নোয়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্পে রেখে যায়। এরপর প্রায় ৪ দিন ধরে শিশুটি রাউজান থানা হেফাজতে ছিল। মিডিয়ার মাধ্যমে তার পরিচয় পেয়ে তার মা থানায় এসে নিয়ে যায়।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড