প্রেমের সম্পর্কে পরিবারের বাধা, অভিমানে কিশোরীর প্রাণ ত্যাগ

অবুঝ বয়সে প্রেমের সম্পর্কে পরিবারের বাধা পেয়ে অভিমান করে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মিতু আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।

নিহত মিতু আক্তার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের কাছিমপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের মেয়ে ও স্থানীয় কাছিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে পুলিশ নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

এর আগে শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের কাছিমপুর গ্রামের নিজ বাড়ির ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমায় ওই কিশোরী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের কাছিমপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের মেয়ে মিতু আক্তারের সঙ্গে বেশ কয়েক মাস পূর্বে একই উপজেলার ভালুকবের নয়াপড়া গ্রামের সুমন নামে এক কিশোরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু মিতুর পরিবার কোনোভাবেই এই প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে চায় না। ফলে বেশ কয়েকবার মেয়ের স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দেয় বাবা-মা।

এ দিকে, শনিবার সন্ধ্যার পর প্রেমিক সুমন মিতুর সঙ্গে দেখা করতে তাদের বাড়িতে আসে। এ ঘটনা টের পেয়ে মিতুর বাবা সুমনকে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলে সুমন একটি মুঠোফোন ফেলে রেখে যায়। পরে মুঠোফোনটি উদ্ধার করে মিতুর বাবা মজিবুর রহমান ভেঙে ফেলার পাশাপাশি মিতুকে শাসন করেন। এতে মিতু কান্নাকাটি করে বাবার সঙ্গে অভিমান করে নিজ বসতঘরের একটি কক্ষে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে ঘটনার দিন রাত ১২টার দিকে পরিবারের সদস্যরা মিতুকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া-শব্দ না পেলে কক্ষের ফাঁকা অংশ দিয়ে দেখতে পায়- মিতু গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক শাওন চক্রবর্তী দৈনিক অধিকারকে জানান, নিহত ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু রহস্যজনক হওয়ায় তার মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ওডি/আইএইচএন