বরিশাল প্রতিনিধি
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার্থী মইন খন্দকারকে (১৪) ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) বিমানবন্দর থানার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কর্মকর্তা হলেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক। তবে এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানায় বিএমপি।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম ইছাকাঠী খন্দকার বাড়ি জামে মসজিদ সংলগ্ন বাড়ির সামনে থেকে স্কুলছাত্র মইনকে আটক করে এসআই এনামুল। পরে শনিবার তাকে ১৪ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এরপর আদালত মইনকে কারাগারে পাঠায়।
মইনের বাবা সাইদুল হক হিরণ জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মইন বাড়ি সংলগ্ন মসজিদের পাশে বসেছিল। এ সময় সাদা পোশাকে দুজন এসে মইনকে জাপটে ধরে। তার চিৎকারে তিনিসহ (হিরণ) আশপাশের লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে এলে সাদা পোশাকধারীরা দাবি করেন, মইন ইয়াবা বিক্রি করে। সে যেখানে বসা ছিল তার পাশে ইয়াবা পাওয়া গেছে।
হিরণ জানান, মইনের হাতে থাকা মুঠোফোনটি পুলিশের হাতে নেয়ার পরই একটি নম্বর থেকে ফোন করে ক্রেতা সেজে ইয়াবা চাওয়া হয়।
তিনি অভিযোগ করে আরও জানান, পুরো ঘটনাটিই সাজানো। একই বাড়ির নুরু মিয়ার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা চলছে। নুরুর ছেলে হাসান চিহ্নিত মাদক কারবারি ও একাধিকবার ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছে। তার সঙ্গেই যোগাসাজশে পুলিশ ব্যবহার করে মইনকে ফাঁসানো হয়েছে।
তবে এসআই এনামুল হক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মইনের সঙ্গেই ইয়াবা পাওয়া গেছে। তিনি উপস্থিত সকলকে ইয়াবা দেখিয়েছেন এবং তাৎক্ষণিক ওয়ারলেসে ম্যাসেজ দিয়েছেন। বিষয়টি গোপন করা হয়নি।
এ বিষয়ে শনিবার মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মোকতার হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়ে গেছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে যাচাই বাছাই করছি। এটি দপ্তরের একজন এএসপি তদন্ত করছেন। কোনো রকম ত্রুটি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড