বগুড়া প্রতিনিধি
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া নবজাতককে উদ্ধার করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ। এই ঘটনায় শিশু চুরির সঙ্গে জড়িত রেশমা খাতুন (৩৫) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার পর পুলিশ শিশুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনি এলাকার ফারুক হোসেনের বাড়ি থেকে পুলিশ রেশমা খাতুন গ্রেফতার করে।
ওই রাতেই বগুড়া সদর থানায় বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা শিশুটির বাবা সৌরভ মিয়ার কাছে তাকে হস্তান্তর করেন। এ সময় শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এস এম এম সালেহ ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রসূতি এবং নবজাতককে দ্রুত হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। বগুড়ার পুলিশ সুপার এ সময় নবজাতক ও প্রসূতিকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর চিকিৎসা ও নবজাতকের উন্নত খাবারের জন্য ব্যক্তিগতভাবে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান জানান, বুধবার হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুররি ঘটনা জানার পরপরই পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। বৃহস্পতিবার রাতে খবর পাওয়া যায় যে, নবজাতকটি রামচন্দ্রপুর গ্রামে রেশমা খাতুনের কাছে আছে। পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে রেশমা খাতুন নবজাতককে নিয়ে শহরের লতিফপুর এলাকায় ফারুক হোসনের বড়িতে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে নবজাতককে উদ্ধার করা হয় এবং রেশমাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রেশমার স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি রামচন্দ্রপুর গ্রামে বসবাস করে। সে শাজাহানপুর উপজলোর রামচন্দ্রুপুর গ্রামের মৃত সাত্তার মণ্ডলের মেয়ে। তার নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। ধারণা করা হচ্ছে, বিক্রি করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি হাসপাতাল থেকে কৌশলে নবজাতকটিকে চুরি করে।
উল্লেখ্য, বগুড়ার কাহালু উপজেলার নলঘরিয়া গ্রামের সৌরভ মিয়ার স্ত্রী নাহিদা আক্তার শজিমেক হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এরপর ওর্য়াডে নেওয়ার সময় নবজাতকটি চুরি হয়ে যায়।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড